মানিকগঞ্জের ছাত্রলীগ নেতা রংপুরে গ্রেপ্তার
মানিকগঞ্জে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সামিউর রহমান কম্পনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বুধবার দুপুরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ ছাত্রলীগ নেতার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জেলা শহরে শহীদ রফিক সড়কে জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজাউর রহমান খান আহত হন।
এ ঘটনায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ও জেলা জজ আদালতের আইনজীবী মুরাদ হোসেন মানিকগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা সামিউর রহমানসহ মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম ও সদস্য আবদুস সালামসহ ৯১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
এ ছাড়া কম্পন হত্যা মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত কোরাইশী সুমনের একান্ত ঘনিষ্ঠ হওয়ায় মারপিট, চাঁদাবাজি দখলবাজি নানা অপকর্মের অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সামিউর রহমান পালিয়ে যান। মঙ্গলবার বিকেলে রংপুরের পীরগঞ্জের ডা. এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পীরগঞ্জ থানা-পুলিশের সহযোগিতা অভিযান চালায় মানিকগঞ্জ সদর থানার পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সামিউর কলেজের শহীদ আবু সাঈদ হলের ছাদে উঠে যান। পরে ছাদের পানির পাইপ বেয়ে নিচে নামার সময় তিনি দ্বিতীয় তলা থেকে নিচে পড়ে আহত হন।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, গ্রেপ্তার আসামিকে পুলিশ হেফাজতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে তাঁকে মানিকগঞ্জে নিয়ে এসে আদালতে সোপর্দ করা হবে।