রাজবাড়ীতে গৃহবধূর মৃত্যু, স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যা অভিযোগ

রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামে সাথী আক্তার (২৯) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্বামী রুবেল খাঁ’র বিরুদ্ধে হত্যা অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে সাথীর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে স্বামী রুবেল পলাতক রয়েছেন।
নিহত সাথী আক্তার রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মধূরদিয়া গ্রামের বিশু ফকিরের মেয়ে। প্রায় ১০ বছর আগে তার বিয়ে হয় পাংশা উপজেলার হোসনাবাদ গ্রামের রুবেল খাঁ’র সঙ্গে। দাম্পত্য জীবনে তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
সাথীর বাবা বিশু ফকির অভিযোগ করে বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়েকে তার জামাই রুবেল শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। কয়েকবার মারধর করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। গতকাল রুবেল আমাকে ফোন দিয়ে বলে, আমার মেয়ে হারপিক খেয়েছে, সে হাসপাতালে ভর্তি। পরে আমি সদর হাসপাতালে গিয়ে তাকে পাইনি। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখি, সে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। তার নাক-মুখ দিয়ে ফেনা উঠছিল। চিকিৎসকরা ঢাকায় রেফার্ড করেন। ঢাকায় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মেয়েকে আমার জামাই হত্যা করেছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
স্থানীয় ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মামুন শেখ জানান, ‘চেয়ারম্যান সাহেবের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। এলাকাবাসীর মুখে শুনি, গতকাল বিকাল ৪টার দিকে ওই গৃহবধূ অসুস্থ হয়। পরে তাকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেখান থেকে ফরিদপুরে রেফার্ড করা হয়। ফরিদপুর থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীর স্বামীকে খোঁজ করেছিলাম, কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি।’
এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই মহিলা বিষ খেয়ে মারা গেছেন। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হবে।’
–আল আমিন হোসেন, রাজবাড়ী
–ON/SMA