‘দুর্নীতির প্রমাণ হলে রাজনীতি ছেড়ে দেবো’—মাসুদ সাঈদী

আজ পিরোজপুরে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় জামায়াতের নেতা আলহাজ্ব মাসুদ সাঈদী বলেছেন, ‘যদি কোন সংবাদ সংস্থা বা সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা আমার সাথে দুর্নীতির নূন্যতম সম্পৃক্ততা প্রমাণ করতে পারে, তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি জিয়ানগর উপজেলায় চেয়াম্যান ছিলাম, আপনাদের সামনে সবকিছু রয়েছে। আওয়ামী শাসনামলে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।’
মাসুদ সাঈদী আরও বলেন, ‘আমার কোন দুর্নীতি থাকলে সাংবাদিক ভাইয়েরা এতদিনে সেটা বের করে ফেলতেন। সবচেয়ে বড় গোয়েন্দা সংস্থা হল সাংবাদিকরা।’
তিনি তার বাবার বিষয়েও মন্তব্য করেন এবং বলেন, ‘আমার বাবা আলহাজ্ব দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে জুডিশিয়াল ও মেডিক্যাল কিলিং করা হয়েছে। যারা আমার বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন তারা অবশ্যই শাস্তি পাবে।’
আলহাজ্ব মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। যারা আমার বাবাকে হত্যা করেছে, তারা আওয়ামী লীগের লোক। তারা এখনও বিভিন্ন পদে আসীন রয়েছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি, তবে আমাদের বাবার হত্যার সমস্ত ডকুমেন্ট এখনও হাতে পাচ্ছি না।’
জামায়াতের পিরোজপুর-১ আসনের মনোনীত প্রার্থী, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী আরও বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ এ দেশের রাজনীতিতে সাধারণ মানুষের বাকস্বাধীনতা ও ভোটাধিকার হরণ করেছে। আওয়ামী লীগ আমাদের নির্বাচন করতে দেয়নি। দেশবাসী ভোটাধিকার ও স্বাধীনতার জন্য ১৭ বছর লড়াই করেছে।’
মাসুদ সাঈদী আরও বলেন, ‘জামায়াত চায় দেশে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সরকার এবং একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকুক।’
এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আলহাজ তোফাজ্জল হোসেন ফরিদ, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রব, জেলা সেক্রেটারি মো. জহিরুল হক, এবং পিরোজপুর জেলা জামায়াতের যুগ্ম সেক্রেটারি মো. আব্দুর রাজ্জাক।
–মোঃ নাছির উদ্দিন, পিরোজপুর
–ON/SMA