শেরপুরে রোজায় নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি, কমেছে দাম

শেরপুরে চলমান রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে স্বস্তি বিরাজ করছে। সরকারের তৎপরতা ও বাজার মনিটরিং কার্যক্রমের ফলে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে এবং দামও সহনীয় পর্যায়ে এসেছে।
রমজানের শুরুতে লেবুর বাজারে অস্থিরতা দেখা গেলেও বর্তমানে তা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। প্রথম রোজায় লেবুর হালি ১০০ টাকা পর্যন্ত ওঠে যায়, যা অনেক ক্রেতার নাগালের বাইরে ছিল। তবে সরকারের কঠোর নজরদারি ও সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে লেবুর হালি ৩০-৪০ টাকায় নেমে এসেছে।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম গত বছরের তুলনায় অনেকটাই কম। গোল আলু বর্তমানে ২০-২৫ টাকা, যা গত বছর ছিল ৮০-৮৫ টাকা। দেশি আলুর দাম ৩৫ টাকা, যা গত বছর ছিল ৬০ টাকা। পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা, যা গত বছর ১২০ টাকা পর্যন্ত ছিল। রসুন ৮০-৮৫ টাকা, যা আগের বছর ২০০-২২৫ টাকা ছিল। আদার কেজি ১২০-১৩০ টাকা, যা গত বছর ছিল ১৫০-১৬০ টাকা। এছাড়া, শসা ২৫ টাকা (গত বছর ৪০ টাকা), গাজর ৩০ টাকা (গত বছর ৭০ টাকা), করলা ৭০-৭৫ টাকা (গত বছর ১২০-১৩০ টাকা) এবং শুকনা মরিচ ২৪০ টাকা (গত বছর ৪০০ টাকা) দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে, মাছ ও মাংসের বাজারে কিছুটা মূল্যবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। গরুর মাংসের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে গেছে, হাঁসের মাংস ১০০ টাকা বেড়েছে, দেশি ও কক জাতের মুরগির দাম ২০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগির দাম ১৫ টাকা বেড়েছে।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে এবং পণ্য সরবরাহ ঠিক রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। যারা নিয়মের ব্যত্যয় করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সর্বোপরি, সরকারের কঠোর নজরদারির কারণে বাজারে স্বস্তি ফিরে এসেছে।’
–মোঃ শরিফ উদ্দিন বাবু, শেরপুর
–ON/SMA