কীর্তিনাশা নদীতে ডাকাতি ঠেকাতে গুলি, আহত ৮, নিহত ২

মাদারীপুরের কীর্তিনাশা নদীতে ডাকাতির চেষ্টাকালে এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে ডাকাতদের গুলিতে অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। এরপর স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে ডাকাতদের আটক করে গণপিটুনি দিলে গুরুতর আহত হয় ৭ জন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দুই ডাকাত। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদারীপুর-শরিয়তপুর সীমান্তবর্তী খোয়াজপুর-টেকেরহাট বন্দর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে একজন মুন্সিগঞ্জের কালিরচর এলাকার রিপন ও অন্যজন শরিয়তপুরের জাজিরার আনোয়ার দেওয়ান। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি কাটা রাইফেল উদ্ধার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে স্পিডবোটে করে একদল ডাকাত খোয়াজপুর-টেকেরহাট বন্দরে আসে এবং বালুবাহী জাহাজে ডাকাতির চেষ্টা করে। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এসময় ডাকাতরা হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালানোর চেষ্টা করে এবং তাদের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হলে তারা গুলি ছোঁড়ে, এতে অন্তত ৮ জন গুলিবিদ্ধ হন।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের এলাকার মানুষ একাধিক ট্রলার নিয়ে ডাকাতদের ধাওয়া দেয়। পরে শরিয়তপুরের তেতুলয়া এলাকায় তাদের গতিরোধ করে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ৭ ডাকাতকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শরিয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজন মারা যায়।
এদিকে আহত স্থানীয়দের মধ্যে পাঁচজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও চরগোবিন্দপুরের বাসিন্দা রাজু ফরাজী বলেন, ‘ডাকাতির খবর পেয়ে আমরা ট্রলার নিয়ে নদীতে নেমে পড়ি। ডাকাতরা আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে, এতে আমাদের ৭-৮ জন আহত হয়। তাদের হাতে অস্ত্র ছিল এবং তারা আমাদের দিকে গুলি চালায়।’
ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয়দের দাবি, নদীপথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হোক।
–ইসমাইল খান, মাদারীপুর
–ON/SMA