মাদক ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের দাবিতে নাগেশ্বরীতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার সাঞ্জুয়ার ভিটা এলাকার বাসিন্দারা মাদক ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের দাবিতে ২১ ফেব্রুয়ারি জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ করেছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে কিছু চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে, যা যুবসমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এর প্রতিবাদে তারা রাজপথে নেমে বিক্ষোভ করে।
এলাকাবাসীর বিক্ষোভের খবর পেয়ে প্রশাসন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিকেল সাড়ে তিনটায় উপজেলা প্রশাসন মিলনায়তনে এক জরুরি সভার আয়োজন করা হয়। সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিব্বির আহমেদ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় এলাকাবাসী জোরালোভাবে দাবি জানায়, মাদক ব্যবসায়ীরা দ্রুত এলাকা ছাড়ুক। তারা বলেন, ‘আমাদের ছেলে-মেয়েরা মাদকের কবলে পড়ছে, আমরা এই সামাজিক অবক্ষয় আর সহ্য করতে পারছি না। প্রশাসনকে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এলাকাবাসীর বক্তব্য গুরুত্বের সঙ্গে শোনেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিব্বির আহমেদ। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে আমরা কাজ করছি। আপনারা শান্ত থাকুন, আমরা দ্রুত এই সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান বের করব। আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ সময় অভিযুক্ত মাদক কারবারিরা নিজেই এলাকা ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানান। তারা বলেন, কিছুদিন সময় পেলে তারা তাদের বাড়িঘর সরিয়ে নেবেন ও জমি বিক্রি করবেন।
বিক্ষোভের পর এলাকা কিছুটা শান্ত হয় এবং পরে বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। তবে এলাকাবাসী জানিয়েছেন, যতক্ষণ না মাদক ব্যবসায়ী এলাকা ছাড়ছে বা প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে, ততক্ষণ তারা সতর্ক অবস্থানে থাকবেন।
উল্লেখ্য, ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ছাত্র জনতা মাদক কারবারি দমনে বিক্ষোভ মিছিল করেছিল। সেসময় সাঞ্জুয়ার ভিটা এলাকার চারজন মাদক কারবারির বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
সাঞ্জুয়ার ভিটার বাসিন্দারা চান, এলাকা মাদকমুক্ত হোক এবং ভবিষ্যতে কেউ যেন এ ধরনের অপরাধে জড়াতে না পারে। প্রশাসনের সক্রিয় তৎপরতায় তারা আশাবাদী, দ্রুতই এর সমাধান হবে এবং এলাকায় শান্তি ফিরে আসবে।
–জাহিদ খান, কুড়িগ্রাম
–ON/SMA