বরগুনার চরাঞ্চলে আগাম তরমুজ চাষে কৃষকের আশার আলো

বরগুনার চরাঞ্চলে শুরু হয়েছে আগাম তরমুজের চাষ। অনেক খেতে ইতোমধ্যে ফল ও ফুল আসতে শুরু করেছে, যা কৃষকদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। তবে কৃষি বিভাগ ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি গ্রহণ করলে ক্ষতির শঙ্কা কমবে এবং কৃষকরা অধিক মুনাফা পাবেন।
বিশখালী নদীর বুকে জেগে ওঠা উর্বর চরাঞ্চল বরগুনার মাঝের চর। এখানকার কৃষক ছগির দফাদার ১ একর জমিতে আগাম জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। তিনি আশাবাদী, ভালো ফলন হলে ৩-৪ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। শুধু মাঝের চর নয়, বরগুনার অন্যান্য চরাঞ্চল, যেমন পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী এলাকায়ও তরমুজ চাষ হচ্ছে। অনেক কৃষক মালচিং পদ্ধতিতেও চাষ করছেন, যা আধুনিক চাষাবাদের একটি অংশ।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘যেখানে তরমুজের সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে আমরা সরজান পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারি এবং নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে ভালো তরমুজ উৎপাদন করা সম্ভব। এতে কৃষকরা ভালো দাম পাবেন।’
তবে, জেলার ৭০ শতাংশ কৃষক এখনো কৃষি বিভাগের পরামর্শ না নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তরমুজ চাষ করেন। ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতির পরিমাণও বেড়ে যায়। এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিতে তাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. আবু সৈয়দ মো. জোবায়েদুল আলম বলেন, ‘আমরা সাধারণত যে ধরনের জমি তরমুজ চাষের উপযোগী, সেখানে চাষাবাদ করতে পরামর্শ দিয়ে থাকি। এছাড়া আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি যেন কৃষকরা মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগ করেন, সে বিষয়েও পরামর্শ দিচ্ছি। কৃষি অধিদপ্তর সব সময় কৃষকদের জন্য সহযোগিতা করছে।’
–সানাউল্লাহ রেজা শাদ, বরগুনা
–ON/SMA