লেখাপড়া শেষ করে সফল কৃষি উদ্যোক্তা হিরক, চাকরির পেছনে না ছুটে গড়েছেন নিজস্ব বাগান

লেখাপড়া শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টায় শুরু করেন মিশ্র ফলের বাগান। ১৫ একর জমিতে আম, পেয়ারা, নারকেল ও বড়ই গাছ লাগিয়ে সফল কৃষি উদ্যোক্তা হয়েছেন সালাউদ্দিন আহমেদ হিরক। এ বছর তার একটি বড়ই বাগানে খরচ হয়েছে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা এবং ইতিমধ্যে তিনি দেড় লক্ষ টাকারও বেশি বড়ই বিক্রি করেছেন। এর ফলে এলাকার কিছু মানুষের কর্মসংস্থানও হয়েছে।
পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের পারডেমনাপাড়া গ্রামের এই উচ্চশিক্ষিত কৃষক বর্তমানে বেকারদের চাকরি দিচ্ছেন। সালাউদ্দিন হোসেন হিরক বলেন, “লেখাপড়া শেষ করার পর আমার বন্ধুরা যখন চাকরির জন্য দৌড়ঝাঁপ করছিল, তখন আমি কাদা-মাটি মেখে কৃষক হয়ে উঠি। এখন প্রতিটি বছর বাড়ছে আয় ও চাষের জমির পরিমাণ।”
এদিকে, বাগানে কাজ করা আব্দুর রহিম জানান, “আমরা ১০ থেকে ২০ জন নিয়মিত হিরক ভাইয়ের মৃধা এগ্রোতে কাজ করি। আমাদের আর বাইরে যেতে হয় না, নিজের বাড়ির পাশেই কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আমরা চাই, হিরক ভাইয়ের মতো আরো অনেকেই এই কাজ শুরু করুন।”
সিদ্দিক নামে এক অন্য চাষী বলেন, “লেখাপড়া শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে, আমাদের মালিক হিরকের মতো যদি আরো উদ্যোক্তা হয়, তবে আমরা মাঠে কাজ করা মানুষরা ভালো থাকতে পারব।”
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, “পাংশা উপজেলায় এ বছর কুলের আবাদ হয়েছে প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে। তরুণ উদ্যোক্তাদের আমরা উৎসাহিত করছি। উচ্চ মূল্যের ফসল চাষ করে তারা ভালো লাভ করতে পারেন। হিরক সফল উদাহরণ।”
–আল আমিন হোসেন, পাংশা
–ON/SMA