চিলাহাটি রেলস্টেশনে নিম্নমানের নির্মাণ: ওয়াসফিডের পিলারে ফাটল

নীলফামারীর চিলাহাটি আধুনিকীকরণ রেলস্টেশনে ওয়াসফিড নির্মাণ কাজ চলাকালীন সময় একাধিক পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। শুরু থেকেই নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার এবং জোড়াতালি দিয়ে কাজ চালানোর অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, চিলাহাটি রেলস্টেশনে ৪০০ মিটার দৈর্ঘ্যের ওয়াসফিড নির্মাণের জন্য ২১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ক্যাসেল কোম্পানি ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে নির্মাণকাজ শুরু করে। প্রথমে এক বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও পরে সময়সীমা বাড়িয়ে দুই বছর করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা হাফিজুর রহমান খোকা, ইসমাইল হোসেন ও বিপ্লবী সুমন জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ক্যাসেল কোম্পানি শুরু থেকেই নিম্নমানের নির্মাণকাজ করছে। অধিকাংশ সময় রাতের আধারে ঢালাইয়ের কাজ করতে দেখা গেছে, যা মান নিয়ন্ত্রণের প্রশ্ন তুলেছে। নির্মাণ চলাকালীন বেশিরভাগ পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে, যা বালু ও সিমেন্ট দিয়ে ঢেকে রাখা হচ্ছে। এছাড়া, কোথাও ১২ মিলিমিটার, কোথাও ১০ মিলিমিটার রড ব্যবহার করা হয়েছে, যা প্রকল্পের নির্ধারিত মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
এছাড়াও, ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পরপরই বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা গেছে। স্থানীয়রা জানান, প্ল্যাটফর্মের ছাউনি ছোট হওয়ায় বর্ষাকালে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়বে। দুই বছর পার হলেও ওয়াসফিড নির্মাণকাজ এখনও শেষ হয়নি।
এ বিষয়ে ক্যাসেল কোম্পানির প্রকল্প ব্যবস্থাপক সালেমান হোসেন বলেন, ‘সিডিউল অনুযায়ী কাজ চলছে। দুইটি পিলারের জয়েন্ট স্থানকে ফাটল বলা হচ্ছে।’
প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহিম বলেন, ‘যেখানে রডের সমস্যার কথা বলা হচ্ছে, সেখানে অতিরিক্ত রড ব্যবহার করা হয়েছে। পিলারের জয়েন্ট স্থানকে ফাটল বলা হচ্ছে।’
এর আগে, ২৯ জানুয়ারি চিলাহাটি নবনির্মিত আইকনিক ভবন হস্তান্তরের আগেই ফাটলের খবর বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছিল।
–রাকিবুল হাসান, নীলফামারী
ON/SMA