রাজনীতির মাঠে সুসংবাদ ম্যান সিটির, জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন সাবেক স্ট্রাইকার
ফুটবল মাঠে সময়টা ভালো যাচ্ছে না ম্যানচেস্টার সিটির। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ছয় ম্যাচে জয় পায়নি পেপ গার্দিওলার দল। ওই ছয় ম্যাচের প্রথম পাঁচটিতে আবার হার নিয়ে মাঠে ছেড়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের টানা চারবারের চ্যাম্পিয়নরা। দলের এমন দুঃসময়ে গতকাল রাতে একটি ‘সুসংবাদ’ পেলেন সিটির সমর্থকেরা। তাঁদের প্রিয় দলের সাবেক এক খেলোয়াড় প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র জর্জিয়ার।
ফুটবলার থেকে কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হওয়ার ঘটনা ফুটবলে নতুন কোনো ঘটনা নয়। ব্যালন ডি’অরজয়ী ও ফিফার বর্ষসেরা হওয়া একমাত্র আফ্রিকান খেলোয়াড় জর্জ উইয়াহ তো পরে লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। এবার জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন মিখেইল কাভেলাশভিলি।
৫৩ বছর বয়সী কাভেলাশভিলি ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত খেলেছেন ম্যানচেস্টার সিটিতে। সাবেক এই স্ট্রাইকার সিটির জার্সিতে ২৮ ম্যাচে খেলে গোল করেছেন ৩টি। পরিসংখ্যানটা সাদামাটা হলেও কাভেলাশভিলিকে সিটি সমর্থকেরা মনে রেখেছেন তাঁর অভিষেক ম্যাচের জন্য। সেই সময়ে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চেয়ে শক্তিমত্তায় যোজন যোজন ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল সিটি। সেই সময়ে কাভেলাশভিলির অভিষেক ম্যাচে ইউনাইটেডের কাছে ৩-২ গোলে হারে সিটি। তবে সেই ম্যাচে একটি গোল করেছিলেন কাভেলাশভিলি। ওই ম্যাচের কয়েক সপ্তাহ পরেই সিটি প্রিমিয়ার লিগ থেকে অবনমিত হয়।
১৯৯১ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত জর্জিয়ার জাতীয় দলের হয়ে ৪৬ ম্যাচে ৯ গোল করা কাভেলাশভিলি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেশটির ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পেয়েছেন। আর তাতেই নিশ্চিত হয়ে গেছে তাঁর প্রেসিডেন্ট হওয়াটা। জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট পদটা অলংকারিক। জনগণের সরাসরি ভোটে নয়, সংসদ সদস্য, মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলর ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত ৩০০ সদস্যের ইলেকটোরাল কলেজ নির্বাচন করে প্রেসিডেন্ট।
যেহেতু ইলেকটোরাল কলেজের বেশির ভাগ ভোটারই ক্ষমতাশীল জর্জিয়ান ড্রিম পার্টির, তাই আগামী ১৪ ডিসেম্বরের নির্বাচনে কাভেলাশভিলির জয় পাওয়াটা একদমই নিশ্চিত। কাভেলাশভিলির ড্রিম পার্টি গত ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। তবে রুশপন্থী দলটির বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রভাবে নির্বাচনে কারচুপি করে জয়ের অভিযোগ করছে বিরোধীরা। দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট সালোমে জুরাবিচভিলি পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। গত সোমবার পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশনেও যাননি তিনি। জুরাবিচভিলির ছয় বছরের মেয়াদ শেষ হবে ডিসেম্বরে।
সুত্র: প্রথম আলো
ON/RMN