সেরা একাদশে নিয়মিত থাকতে চান ফুটবলের পাপন
বছরের শেষটা অন্তত জয় দিয়ে রাঙিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। মালদ্বীপের বিপক্ষে অন্তিম মুহূর্তে দারুণ জয়ের কারিগর পাপন সিং। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এত দিন ‘পাপন’ নামটা সাবেক বিসিবি সভাপতির কারণে অতি পরিচিত ছিল। আর ফুটবলার পাপন আড়াল থেকে ফিরলেন নায়কের বেশে। এখন থেকে আর আড়াল হতে চান না, নিয়মিত খেলতে চান সেরা একাদশে। বাংলাদেশ দলের এই মিডফিল্ডার মাঠে নামতে চান ম্যাচের শুরু থেকেই।
বয়সভিত্তিক দল থেকে ২০২২ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল পাপনের। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলেছেন। তিন ম্যাচেই খেলেছেন বদলি হিসেবে। যদিও এটা নিয়ে তাঁর কোনো আফসোস নেই। গত পরশু দেশের একটি সংবাদ মাধ্যমকে পাপন বলেছেন,
আরেকটু বেশি সুযোগ পেলে ভালো করতে পারতাম। এখন কোচ যেটা ভালো মনে করেন, সেটাই করেছেন। কোচের দায়িত্ব নিয়ে আমার কোনো প্রশ্ন নেই। তিনি বেশ বিচক্ষণ, আমাদের সব ধরনের কৌশলই শেখান। হয়তো আমরাই শিখতে পারছি না। তবে আমার লক্ষ্য, সেরা একাদশে নিয়মিত থাকা। সে লক্ষ্যে যত বেশি পরিশ্রম দরকার করে যাব।
নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা থেকে উঠে আসা পাপন মালদ্বীপের বিপক্ষে জয়সূচক গোলের পর থেকেই স্তুতিতে ভাসছেন। দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পেরে তাঁর মুখে তৃপ্তির আভা, ‘এটা ছিল বছরের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ম্যাচটা জেতা খুব দরকার ছিল। দেশের মানুষকে একটা জয় উপহার দিতে পেরে বেশি তৃপ্ত। এলাকা থেকে অনেকে ফোন দিয়েছে। মা-ও খেলা দেখেছেন। এই যে সবার মধ্যে একটা আনন্দ, এটাই গোল করার সার্থকতা।’
ধীরে ধীরে সমৃদ্ধ হচ্ছে পাপনের ক্লাব ক্যারিয়ার। উত্তর বারিধারা, মোহামেডান হয়ে এবার খেলবেন ঢাকা আবাহনীর জার্সিতে। ক্লাব ফুটবল নিয়ে তাঁর অনেক স্বপ্ন। তবে একজন ফুটবলার হিসেবে ক্লাবের একটি মাঠের অভাববোধ করছেন পাপন,
আমাদের তো মাঠই নেই। ক্লাব বলি আর জাতীয় দল—আমার মনে হয় পর্যাপ্ত মাঠ থাকলে খেলোয়াড়দের প্রস্তুতি নিয়ে ভাবতে হয় না। আপনি বিশ্বের দেশে দেশে দেখবেন, ক্লাবের নিজস্ব মাঠ রয়েছে। কিন্তু এখানে ভিন্ন। ক্লাবের যদি নিজস্ব মাঠ থাকত, তাহলে অনেক সুবিধা হতো। এই যেমন আমার নিজ এলাকায় নেত্রকোনায় একটা স্টেডিয়াম আছে। আমি নিজেও ছোটবেলায় সেখানে খেলেছি। কিন্তু দিনে দিনে সেটার অবস্থা বাজে হয়ে যাচ্ছে! তেমন কোনো পরিচর্যাও করা হয় না। এই দিকগুলোতে একটু নজর দেওয়া উচিত।
সূত্র: আজকের পত্রিকা
ON/ORNB