ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকিতে আইসিসি
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর যত সামনে এগোচ্ছে। আসরটির আয়োজন নিয়ে শঙ্কা ততোই বাড়ছে। আসরটির আয়োজক পাকিস্তান হওয়ায় সেখানে যেতে রাজি নয় পাকিস্তান। তাদের চাওয়া হাইব্রিড মডেল। ভারতের এমন আবদার মানতে নারাজ পাকিস্তান। নিজেদের মাটিতেই আসরটির আয়োজন করতে বদ্ধ পরিকর দেশটি। এ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনায় আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকিতে আছে আইসিসি।
ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা। বিশ্বের সকল ক্রিকেট প্রেমীরা অপেক্ষায় থাকে এই ম্যাচটি দেখার জন্য। টিকিট বিক্রি থেকে শুরু করে এ ম্যাচকে কেন্দ্র করে বেড়ে যায় সব কিছুর দাম। টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দাতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ে। তাতে ম্যাচটির সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করে লাভ হয় আইসিসিরও।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আর্থিক লাভের কথা বিবেচনা করে, বৈশ্বিক ইভেন্টে দুটি করে এই দু’দলের ম্যাচ রাখার চেষ্টা করে আইসিসি। রাখা হয় একই গ্রুপে। যাতে করে গ্রুপ পর্ব শেষ হলেও নকআউট পর্বে দেখা হতে পারে এ দু’দল। যাতে লাভের অংকটা আরও বাড়ে আইসিসির। আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও যেটা করা হয়েছে। একই গ্রুপে রাখা হয়েছে ভারত-পাকিস্তানকে।
তবে এবার আসরটির আয়োজক পাকিস্তান হওয়ায় সেখানে যেতে আগ্রহী নয় ভারত। যা এরইমধ্যে আইসিসিকে জানিয়ে দিয়েছে ভারত। এদিকে পাকিস্তানও তাদের সিদ্ধান্তে অটল। হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করবে না তারা। বরং কোনো কারণে ভারত পাকিস্তানে না এলে তারা আর কখনো ভারতের বিপক্ষে খেলবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে পিসিবি। এই অবস্থায় দু’দেশের ঝামেলা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আইসিসিকে।
পাকিস্তানের এই ভারত বয়কট নীতি ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আইসিসির জন্য। কেননা, যার প্রভাব পড়তে পারে আইসিসির রাজস্বে। তাছাড়া আইসিসির সূচি অনুযায়ী, আগামী ২০২৫ সালে নারী বিশ্বকাপ, ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২৯ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও ২০৩১ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের আয়োজক ভারত। যেখানে অংশগ্রহণ নাও করতে পারে পাকিস্তান। যা টুর্নামেন্টের দর্শক ও সম্প্রচার স্বত্বে ধস নামাতে পারে আইসিসির।
কেননা, আইসিসি ইতোমধ্যেই আগামী ২০২৭ সাল পর্যন্ত সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করে দিয়েছে। যার পরিমাণ ৩.২ বিলিয়ন ডলার। আর সেই চুক্তিতে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচের কথাও উল্লেখ আছে। কাজেই কোনো কারণে এই দু’দেশ টুর্নামেন্টে একে অন্যের বিপক্ষে না খেললে তখন সম্প্রসারকরাও আইসিসির কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারে। সব মিলিয়ে জটিল সমস্যায় পড়েছে আইসিসি। কোন দিকে আইসিসি হাঁটবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
সূ্ত্র: যুগান্তর
ON/MRF