বাংলাদেশকে ভারতের চোখ রাঙ্গিয়ে কোনো লাভ হবে না: নজরুল ইসলাম খান
শেখ হাসিনার পতনের পরই ইসকনের আন্দোলন ও ভারতের বিবৃতি পক্ষপাতমূলক এমন অভিযোগ করলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ইসকনের কার্যক্রম অন্য দেশে আছে কিনা। ইসকন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভারতের কাছে দাবি জানায়। বাংলাদেশ কি ভারতের করদ রাজ্য ? ফ্যাসিস্ট হাসিনা হাজার হাজার সাধারণ ছাত্র জনতাকে গুলি করে হত্যা করেছে সে সময়ে ভারত কোনো বিবৃতিতে দেয়নি। ইসকনের একজন বিতর্কিত নেতাকে গ্রেফতার করায় ভারত বিবৃতি দেয়। বাংলাদেশকে ভারতের চোখ রাঙ্গিয়ে কোনো লাভ হবে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নজরুল ইসলাম খান বলেন, ফ্যাসিস্ট পতিত হাসিনার দোসররা নানাভাবে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ফ্যাসিস্টরা আরেক বার সুযোগ পেলে কাউকে ছাড়বে না। ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিরোধী সকল শক্তির সাথে আলোচনা করে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল দায়িত্ব হচ্ছে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
নজরুল ইসলাম খান বলেন,
বিনা ভোটের ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে যারা সহযোগিতা করে টিকিয়ে রেখেছিল তারা দেশ জাতি ও গণতন্ত্রের শত্র। আজ শুক্রবার বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিগত ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনার হাতে যারা খুন, গুম হয়েছেন এবং জুলাই আগস্টের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমান করা যাবে না। তিনি বলেন, আমরা বহু স্বৈরশাসনের পতন দেখেছি। কিন্ত ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার পালানোর এমন দৃশ্য দেখিনি। আল্লাহ কি না করতে পারেন। তিনি বলেন, আলেম সমাজের কথার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা রয়েছে। ফ্যাসিস্ট পতিত হাসিনার দোসরদের নানামুখী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আলেম সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে অশুভ শক্তি মোকাবেলা করতে হবে। প্রতিপক্ষকে দুর্বল ভাবলে ভুল হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। নজরুল ইসলাম আরও বলেন, পতিত স্বৈরাচার নানা কৌশলে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির আলহাজ আজম খানের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা আহমেদ আলী কাসেমী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব কারানির্যাতিত নেতা মুফতি মো.ফখরুল ইসলাম, বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন,ইসলামী ছাত্র শিবিরের ঢাকা সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, দলের নায়েবে আমির শাইখুল হাদিস আবুল কাসেম কাশেমী, মাওলানা মোশাররফ হোসেন, ইসলামিক মুভমেন্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খায়রুল আহসান, নেজামে ইসলাম বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাওলানা হারিছুল হক, বাংলাদেশ ইসলামী ডেমোক্রেটিক ফোরামের চেয়ারম্যান প্রিন্সিপাল মো.রফিকুল ইসলাম, মুফতি এনায়েতুল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা মোহাম্মদ হোসাইন আকন্দ, মনিরুজ্জামান মনির, মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ খান, ছাত্র নেতা আবু দারদা ও আশিক আল আবিদ।
সূত্র : দৈনিক ইনকিলাব
ON / MLY