‘ছাত্রলীগের কেউ ছাত্রদলে স্থান পাবে না’
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেছেন, বিভিন্ন আন্দোলনে যারা ভূমিকা রেখেছে তাদেরকেই ছাত্রদলের সাংগঠনিক কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কোন অনুপ্রবেশকারী এবং খুনী সংগঠন ছাত্রলীগের কেউ ছাত্রদলে স্থান পাবে না।
শনিবার সকালে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার শিবচর বাজারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফার বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে জনসংযোগকালে এসব কথা বলেন তিনি।
নাছির উদ্দীন নাছির জানান, গত সাড়ে ১৫ বছর যারা খুনী হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে, জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, ১৪ এর গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ১৮’র আন্দোলন, ২৪’র ডামি নির্বাচন আগের আন্দোলন সহ সকল আন্দোলনে ভূমিকা রেখে শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করেছে এবং ভবিষ্যতে কাজ করার সক্ষমতা রয়েছে তাদেরকেই ছাত্রদলের সাংগঠনিক কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কোন অনুপ্রবেশকারী এবং খুনী সংগঠন ছাত্রলীগের কেউ ছাত্রদলে স্থান পাবে না।
এসময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ধানের শীষের ছবি সংযুক্ত শুভেচ্ছা স্মারক উপহার দেন তিনি। তখন সবাইকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজেদের মতামত প্রদান করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, প্রয়োজনে আমাদের বিরুদ্ধে মতামত দেন তারপরও নিজেদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রকাশ করুন।
পরে দেশের কওমি শিক্ষা বোর্ডের শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিবচরের জামিয়াতুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় যান। এসময় কুশল বিনিময় করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে। সেখানে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, আলেম ওলামাদের সবচেয়ে সম্মান দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। বিএনপির সাথে আলেম সমাজের ঐতিহাসিক সুসম্পর্ক রয়েছে।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা শাপলা চত্বরে আলেমদের হত্যা করেছে। তখন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এর প্রতিবাদ জানিয়েছিল। বেগম জিয়া একাধিকবার আলেম ওলামাদের হত্যা এবং হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়েছিল। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। সবখানে গুরুত্ব দেওয়া হবে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের। এছাড়া দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য মাদ্রাসা শিক্ষার্থী এবং আলেম ওলামার কাছে দোয়া চান তিনি।
নাছির উদ্দীন নাছির আরও বলেন, খুনী আওয়ামী লীগ সরকার কওমি সনদকে স্বীকৃতি দিলেও কওমি সনদের কার্যকারিতা নেই। কওমি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি সনদের স্বীকৃতির কার্যকারিতা এখনও বাস্তবে দেখা যায় না। অর্থাৎ এই সনদধারী কেউ এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো সরকারি চাকরিতে সুযোগ পাননি। কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে।
জনসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সোহেল রানা, সহ-সামাজিক যোগাযোগ ও গণমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাছিম বিল্লাহ অপু, মাদারীপুর জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান জাকির, সদস্য সচিব কামরুল হাসান এবং ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।]
সুত্র: যুগান্তর
ON/RMN