পটুয়াখালীতে ছাত্রদলের ২ নেতা বহিষ্কার, নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি

এক কিশোরের ওপর হামলার ঘটনায় পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ। তবে বহিষ্কৃত দুই নেতা দাবি করছেন, তারা ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না, এমনকি ঘটনাস্থলেও উপস্থিত ছিলেন না।
বহিষ্কার আদেশের পর থেকে স্থানীয় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। তারা দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এই বহিষ্কারের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন:
- আব্দুল করিম মৃধা কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আরিফ বিল্লাহ
- পলিটেকনিক কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অমি প্যাদা
- পটুয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান রাকিব
তৃণমূল ছাত্রদলের দাবি, ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে নিরপেক্ষ তদন্ত করা হোক এবং নিরপরাধ প্রমাণিত হলে মেহেদী হাসান রাকিব ও আরিফ বিল্লাহকে স্বপদে পুনর্বহাল করা হোক।
বহিষ্কৃত নেতাদের প্রতিক্রিয়া
পটুয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান রাকিব বলেন, ‘কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি মেনে নিয়েছি, তবে আমি ছাত্রদলের সঙ্গেই আছি এবং থাকবো। আদর্শ থেকে একচুলও সরে যাবো না। দল ও সাধারণ ছাত্রদের কল্যাণে কাজ চালিয়ে যাবো। আমি কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানাচ্ছি। পৌরসভার সিসিটিভি ফুটেজে আমার নির্দোষ থাকার প্রমাণ আছে।’
তৃণমূল ছাত্রদল নেতারা অভিযোগ করেছেন, মেহেদী হাসান রাকিব দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ছাত্রদলের হয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন এবং একাধিকবার হামলা ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করছিলেন, যা কোনো মহলের অস্বস্তির কারণ হয়ে থাকতে পারে।
জেলা ছাত্রদলের প্রতিক্রিয়া
জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব জাকারিয়া আহমেদ বলেন, ‘বহিষ্কৃতরা কোনো হামলার সঙ্গে জড়িত নয়। তারা ছাত্রদলের নিবেদিত কর্মী। তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।’
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের অবস্থান
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে কেন্দ্র থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আরও তদন্তের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে। আমাদের টিম কাজ করছে।’
–মাহমুদ হাসান রায়হান, পটুয়াখালী
–ON/SMA