নিষিদ্ধের পরও রাজাপুরে সক্রিয় ‘সেভেন স্টার ব্রিকস’

পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকা সত্ত্বেও ঝালকাঠির রাজাপুরে আবারও চালু হয়েছে পূর্বে বন্ধ হওয়া অবৈধ ইটভাটা ‘সেভেন স্টার ব্রিকস’। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে ইটভাটাটির মালিক পক্ষ পুরোদমে ইট পোড়ানোর কার্যক্রম শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, রাজাপুর উপজেলার কানুদাসকাঠি গ্রামে অবস্থিত সেভেন স্টার ব্রিকস ভাটাটি সাবেক সংসদ সদস্য বিএইচ হারুনের ভাতিজা মো. ফেরদৌসের মালিকানাধীন। পরিবেশ বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে রাজাপুর উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে ভাটাটি বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং বিপুল পরিমাণ কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়।
তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাটাটিতে বর্তমানে আবারও ইট কাটা ও পোড়ানোর কাজ চলছে। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে মাটির কাজ করা শ্রমিকরা সরঞ্জাম ফেলে স্থান ত্যাগ করেন। কেবল ক্লিনের দায়িত্বে থাকা কয়েকজন শ্রমিক ভাটায় অবস্থান করছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল আজিজ মিয়া, মিন্টু মৃধা ও সেকান্দার আলী জানান, ভাটার নিকটবর্তী একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কারণে এটি পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছ থেকে কোনো ছাড়পত্র পায়নি। তবুও মালিক পক্ষ নিয়মবহির্ভূতভাবে ফের ইট পোড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেভেন স্টার ব্রিকসের মালিক মো. ফেরদৌস বলেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেট এসে আমাদের কাঁচা ইট ধ্বংস করে দিয়ে ভাটা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তবে সরকারকে ভ্যাটসহ বিভিন্ন খাতে যে লোকসান হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে আমরা কিছু ইট পোড়াচ্ছি।’
পরিবেশ অধিদপ্তর ঝালকাঠি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আনজুমান নেছা বলেন, ‘আমরা কয়েক মাস আগে সেভেন স্টারসহ জেলার অনেক অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দিয়েছি। কেউ যদি ছাড়পত্র ছাড়া গোপনে আবার চালু করে, তবে আইন অনুযায়ী দ্রুত আবারও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ১৮ মার্চ দেওয়া হাইকোর্টের এক রায়ে বলা হয়েছে, পরিবেশ ছাড়পত্রবিহীন সব ইটভাটা অবৈধ এবং সেগুলো উচ্ছেদ করতে হবে।
স্থানীয়রা দ্রুত প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন, যাতে করে পরিবেশ বিধিমালার সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত হয় এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম প্রতিহত করা যায়।
–মো. নাঈম হাসান ঈমন, রাজাপুর
–ON/SMA