পিরোজপুরে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অপসারণ দাবিতে স্বাস্থ্য কর্মীদের মানববন্ধন

পিরোজপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে তার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর হাসপাতালের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে স্বাস্থ্য সহকারী, স্বাস্থ্য পরিদর্শকসহ কার্যালয়ের প্রায় সব স্তরের কর্মচারীরা অংশ নেন।
অভিযোগকারীদের ভাষ্যমতে, ডা. ফরিদা ইয়াসমিন মানসিক ভারসাম্যহীন, দুর্নীতিগ্রস্ত, অহংকারী ও মিথ্যাচারী। তাদের অভিযোগ, তিনি সহকর্মীদের সঙ্গে অশালীন এবং আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। এছাড়া, তিনি অফিসের কর্মচারীদের দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ এমনকি সন্তান লালন-পালনের কাজ করিয়ে থাকেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—
মোঃ জাহিদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য সহকারী ও সভাপতি, বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন, পিরোজপুর জেলা শাখা;
শামসুন্নাহার চিনু, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক;
শাহনাজ পারভিন, স্বাস্থ্য সহকারী;
শিরিন পারভীন, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক;
বিনয় কৃষ্ণ পাল, স্বাস্থ্য সহকারী;
জেসমিন আক্তার, স্বাস্থ্য সহকারী;
মেজবাউদ্দীন, স্বাস্থ্য সহকারী।
মানববন্ধন শেষে একটি প্রতিনিধি দল পিরোজপুরের সিভিল সার্জনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেয়। সিভিল সার্জন অভিযোগগুলো গুরুত্বসহকারে শুনে বলেন, ‘আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
অভিযোগকারীরা আরও জানান, এর আগেও ডা. ফরিদা ইয়াসমিন যেসব স্থানে কর্মরত ছিলেন, সেখানেও তার বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ ও মানববন্ধনের ঘটনা ঘটেছে। তারা জানান, তিনি প্রয়াত সেনা কর্মকর্তা (মেজর) এর স্ত্রী হওয়ায়, বিভিন্ন সময়ে সেনাবাহিনীর নাম ব্যবহার করে সহকর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন।
মানববন্ধনের সময় তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করেন এবং সংবাদ সংগ্রহে থাকা সাংবাদিকদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার ও হামলার চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে বক্তারা বলেন, ‘একজন দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ডা. ফরিদা ইয়াসমিনের এ ধরনের আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং অনভিপ্রেত।’ তারা অবিলম্বে তার বদলি এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থার দাবি জানান।
–মোঃ নাছির উদ্দিন, পিরোজপুর
–ON/SMA