লতিরাজ কচু চাষে ২ লাখ টাকার আশা কচুয়ার মনির হোসেনের

কচুয়ার সেঙ্গুয়া গ্রামে লতিকচু চাষ করে বাজিমাত কৃষক মনির
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সেঙ্গুয়া গ্রামে লতিরাজ কচু চাষ করে উল্লেখযোগ্য সফলতা পেয়েছেন কৃষক মনির হোসেন বেপারী। মাত্র ৩৬ শতাংশ জমিতে চাষ করা এই কচু বিক্রি করে তিনি ইতোমধ্যে আয় করেছেন প্রায় ১ লাখ টাকা। বাকি ফসল থেকে আরও ১ লাখ টাকার বিক্রির আশায় আছেন তিনি।
স্থানীয়ভাবে ‘লতিরাজ কচু’ নামে পরিচিত এই জাতের কচু বর্তমানে কচুয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় কচুর বাম্পার ফলন হওয়ায় অনেক কৃষকই অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। কৃষকরা জানাচ্ছেন, ধান চাষের তুলনায় লতিরাজ কচু চাষে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি লাভ পাওয়া যায়।
কৃষক মনির হোসেন জানান, ‘কচু চাষে খুব অল্প পরিচর্যা লাগে, ঝুঁকিও কম। এই চাষে সারও প্রয়োজন হয় না। কম খরচে আর্থিকভাবে বেশি লাভবান হওয়ায় আমরা অধিক পরিমাণে কচুর চাষ করছি।’ তিনি জানান, ৩৬ শতাংশ জমিতে চাষ করতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত ১ লাখ টাকার কচু বিক্রি করেছেন এবং আশা করছেন কিছুদিনের মধ্যে আরও ১ লাখ টাকার বিক্রি করতে পারবেন।
এই চাষে সফলতা দেখে তার আশপাশের অনেকেই লতিরাজ কচু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। তার উৎপাদিত কচু স্থানীয় পালাখাল, সাচার, কচুয়া ও রহিমানগরসহ বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে খুচরা বাজারে লতিরাজ কচুর দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা প্রতি কেজি এবং ফুল বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মেজবাহ উদ্দিন জানান, ‘লতা পুষ্টিগুণসম্পন্ন একটি সবজি যা সারা বছর চাষ করা যায়। ছায়াযুক্ত ও স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় এটি ভালোভাবে জন্মে। কচুয়ায় লতিকচু চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। লতিরাজ কচু চাষ করতে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।’
উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর কচুয়ায় ৫ হেক্টর জমিতে লতিরাজ কচু চাষ হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এই চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
–মো. মাসুদ মিয়া,কচুয়া
–ON/SMA