শেরপুরে ‘সাইলেন্ট বুক রিডিং’: কাগজের বইয়ে ফেরানো যুবসমাজ

ইন্টারনেটের নেতিবাচক প্রভাব থেকে তরুণ সমাজকে মুক্ত রাখতে শেরপুর ডিসি উদ্যানে চালু হয়েছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ‘সাইলেন্ট বুক রিডিং’। শহরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতে এই উন্মুক্ত লাইব্রেরির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার ও শনিবার বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ডিসি উদ্যানে বেড়াতে আসা শিক্ষার্থীসহ অন্যান্যরা এই লাইব্রেরি থেকে বই সংগ্রহ করে পড়তে পারছে। ইতোমধ্যে এই লাইব্রেরিতে ৪০০টিরও বেশি বই সংরক্ষিত হয়েছে।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে সম্প্রতি শেরপুর গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের আয়োজনে জেলার ৩৩ জন লেখকের বই এই লাইব্রেরিতে প্রদান করা হয়েছে। এতে জাতীয় পর্যায়ের লেখকদের পাশাপাশি স্থানীয় লেখকদের বই পাঠে আগ্রহ তৈরি হওয়ার পাশাপাশি শেরপুরের লেখকদের পরিচিতিও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক রফিক মজিদ বলেন, ‘আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন লাইব্রেরিতে শেরপুরে লেখকদের বই সরবরাহ করেছি। সাইলেন্ট বুক রিডিং-এর মত ব্যতিক্রমী আয়োজনকে স্বাগত জানিয়ে আমরা শেরপুরে লেখকদের কিছু বই প্রদান করি। আগামী দিনেও আমাদের সংগঠন তথা শেরপুরের লেখকদের নতুন বই প্রকাশিত হলে সেসব বই দেওয়া হবে।’
শেরপুর সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি রাহাতুল ইসলাম আলো জানান, ‘আমরা শহরের বিভিন্ন পার্কগুলোতে অযথা আড্ডা এবং নেতিবাচক আড্ডা থেকে তরুণ সমাজকে ফিরিয়ে আনতে এই কাগজের বই পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি লক্ষ্যে এই “সাইলেন্ট বুক রিডিং” গঠন করেছি। শুরুতে শহরের ডিসি উদ্যানে দুই মাস যাবৎ সপ্তাহে দুই দিন এই কার্যক্রম পরিচালিত হলেও আগামীতে শহরের অন্যান্য পার্কেও পর্যায়ক্রমে স্থাপন করা হবে।’
–মোঃ শরিফ উদ্দিন, শেরপুর
–ON/SMA