আশ্রয়ন কেন্দ্রে পাঠদান, একাডেমিক ভবনের অভাবে সংকটে মাদ্রাসা

একাডেমিক ভবনের অভাবে পাঠদান চলছে আশ্রয়ন কেন্দ্রে। কচুয়ার বড়দৈল মুয়াল্লিম দাখিল তেফলিয়া মহিলা মাদ্রাসার পুরো শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ২০০৬ সালে নির্মিত একটি আশ্রয়ন ভবনের দ্বিতীয় তলায়।
১৯৮৭ সালে কচুয়া উপজেলার বড়দৈল গ্রামে নারী শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় মুয়াল্লিম দাখিল তেফলিয়া মহিলা মাদ্রাসা। তবে দীর্ঘ ৩৮ বছরেও মাদ্রাসাটি নিজস্ব একাডেমিক ভবন পায়নি।
মাদ্রাসার সুপার মো. আলমগীর মিয়া জানান, ‘এ মাদ্রাসায় বর্তমানে ১৮ জন শিক্ষক-কর্মচারী এবং ৩২০ জন ছাত্রী রয়েছে। ১৯৯৯ সালে মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হলেও ভবনের উন্নয়নে কোনো অগ্রগতি হয়নি। আমরা বাধ্য হয়ে আশ্রয়ন কেন্দ্রেই শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।’
২০০৬ সালে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আনম এহসানুল হক মিলনের মাধ্যমে মাদ্রাসায় একটি দুইতলা বিশিষ্ট আশ্রয়ন ভবন নির্মাণ করা হয়। সেই ভবনের দ্বিতীয় তলায় চলছে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অফিস ও ছাত্রীদের ক্লাস।
সহ-সুপার মো. মফিজুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘মাদ্রাসায় বর্তমানে প্রায় ১ একর নিজস্ব জমি রয়েছে। কিন্তু একাডেমিক ভবন না থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংস্কার বা উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি।’
মাদ্রাসার সাবেক বিদ্যুৎসাহী সদস্য ও ইউপি সদস্য মো. আবু আক্কাস মজুমদার বলেন, ‘বড়দৈল একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম। নারী শিক্ষার অগ্রগতির জন্য এই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বহুবার চেষ্টার পরও একটি ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সুদৃষ্টি ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় দ্রুত একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণের দাবি জানাই।’
মাদ্রাসাটি দাখিল ও জেডিসি পরীক্ষায় প্রতিবছরই শতভাগ পাশসহ জিপিএ-৫ অর্জন করে আসছে। তবে ভবন সংকট শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা গ্রহণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
–মো: মাসুদ মিয়া, কচুয়া
–ON/SMA