১৭ বছর আগের ঘটনায় মের্কেলের কাছে ক্ষমা চাইলেন পুতিন
ঘটনা ২০০৭ সালের। ওই সময় তৎকালীন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেলের সঙ্গে এক বৈঠকে নিজের পোষা ল্যাব্রাডর কুকুর নিয়ে হাজির হয়েছিলেন পুতিন। মের্কেল সেই কুকুর দেখে ভয়ে জড়সড় হয়ে গিয়েছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে, পুতিন জানতেন যে মের্কেল কুকুর ভয় পান। তিনি ইচ্ছে করে বৈঠকে কুকুর নিয়ে গিয়েছিলেন।
এতদিন পর সেই ঘটনার জন্য মের্কেলের কাছে ক্ষমা চাইলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
গতকাল বৃহস্পতিবার কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, ‘আমি জানতাম না, তিনি কুকুরে ভয় পান।’
তিনি বলেন, ‘আমি আবারও তাঁর কাছে ক্ষমা চাইছি। আমি তাঁকে কষ্ট দিতে চাইনি। আমি আমাদের কথোপকথনের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছিলাম।’
পুতিন যোগ করেন, ‘যদি আপনি কখনো—আমি জানি এটি খুবই অসম্ভব—তবুও যদি আবার আসেন, আমি কোনো অবস্থাতেই আর এটা করব না।’
গত মঙ্গলবার প্রকাশিত আত্মজীবনীতে সেই ঘটনার কথা লিখেছেন মের্কেল। ২০০৭ সালে সোচি শহরে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকের ছবিতে দেখা যায়, পুতিনের কালো রঙের ল্যাব্রাডর প্রজাতির কুকুর কননি চারদিকে গন্ধ শুঁকছে আর জার্মান চ্যান্সেলর তাঁর আসনে বসে অস্বস্তির হাসি মুখে নিয়ে বসে আছেন।
মের্কেল তাঁর আত্মজীবনীতে ২০০৭ সালের এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি পুতিনের মুখ দেখে বুঝতে পারছিলাম তিনি বিষয়টি উপভোগ করছিলেন!’ পুতিন ওই বৈঠকে কুকুরটিকে ‘ক্ষমতার প্রদর্শন’ হিসেবে এনেছিলেন বলেই মনে করেন মের্কেল।
পুতিনের কুকুরের প্রতি দুর্বলতা প্রায় সবারই জানা। বহু বিদেশি অতিথির কাছ থেকে বিভিন্ন জাতের কুকুর উপহার পেয়েছেন তিনি। কননি নামে ওই ল্যাব্রাডর প্রজাতির কুকুরটি তাঁকে উপহার দেন সের্গেই শোইগু, তিনি পরে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী হয়েছিলেন।
সূত্র: আজকের পত্রিকা
ON/ORNB