গৃহকর্মী নির্যাতনে বিচারহীনতা বন্ধের দাবি
প্রস্তাবিত গৃহকর্মী সুরক্ষা আইন পাস করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। একই সঙ্গে হাসপাতাল ও সমাজসেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে ভুক্তভোগীর চিকিৎসাসেবা, কাউন্সেলিংসহ পুনর্বাসন নিশ্চিতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এরপর কমিশনকে জানানোর জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
৩ নভেম্বর গণমাধ্যমে ‘এতিম রিয়া মণিকে ছ্যাঁকা দিতে দিতে কবিতা লিখতেন তিনি!’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে এসেছে। পিতামাতাহীন অসহায় শিশুর প্রতি বর্ণিত নির্যাতনের অভিযোগ মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে মনে করে কমিশন।
প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এ ঘটনায় কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ বা সুয়োমোটো গ্রহণ করেছে।
কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ মনে করেন, দেশে গৃহকর্মীদের সুরক্ষার জন্য ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা নীতিমালা’ থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে গৃহকর্মী নির্যাতন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু গৃহকর্মীরা অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে দুর্বল অবস্থানে থাকায় নির্যাতনে জড়িতদের সাজা হয় না বললে চলে। ফলে সমাজে গৃহকর্মী নির্যাতনের বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে। কোনো কোনো ঘটনায় মামলা হলে অনেক ক্ষেত্রে অর্থ, পেশিশক্তি এবং রাজনৈতিক দাপটের কাছে পরাস্ত হতে হয় দুর্বলদের।
এই অবস্থায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মনে করে, প্রস্তাবিত গৃহকর্মী সুরক্ষা আইন পাস করা জরুরি।