২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়: বিস্তারিত

১৮ই সেপ্টেম্বর শেষ হলো বিচারপ্রক্রিয়া: রায় দশ অক্টোবর
গত ১৮ই সেপ্টেম্বর উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ১০ই অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন।
এ নিয়ে ১১৯তম কার্যদিবসে মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হল। এর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ৩০ ও আসামিপক্ষ ৮৯ কার্যদিবস ব্যয় করেছে।
ঘটনার ১৪ বছর এক মাস ২০ দিন পর চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করা হচ্ছে।
২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন এবং পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।
এ ঘটনায় হত্যার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত ও বিচারিক কার্যক্রম শেষে, অবশেষে রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষ মামলার মূল পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবায়নকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে, অন্যদিকে আসামিপক্ষ নিজ নিজ মক্কেলের নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করেছে।
এ রায়ের মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন ১০ই অক্টোবর ঐতিহাসিক ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন।
রায়ে প্রধান বিষয়সমূহ:
১. প্রধান আসামিদের শাস্তি:
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া আরও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণ:
আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন যে আসামিরা রাষ্ট্রীয় মদদে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে হামলা চালিয়েছিল।
হামলার মূল উদ্দেশ্য ছিল তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যা করা।
হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেড ছিল সেনাবাহিনীর মজুদ থেকে সরবরাহ করা উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন গ্রেনেড।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রতিক্রিয়া:
রাষ্ট্রপক্ষ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং বলেছে যে এটি বাংলাদেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
আসামিপক্ষের প্রতিক্রিয়া:
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছেন।
ঘটনার পটভূমি:
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে ২৪ জন নিহত হন এবং শেখ হাসিনা সহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
এই রায়ের মাধ্যমে ১৪ বছর এক মাস ২০ দিনের অপেক্ষার পর বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হলো। তবে আসামিপক্ষের আপিলের মাধ্যমে এই মামলা আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে।
–সূত্রঃ বিবিসি বাংলা
–ON/SMA