বাংলাদেশকে বিনামূল্যে ৩০ হাজার মেট্রিক টন পটাশ সার দিচ্ছে রাশিয়া।
বাংলাদেশকে বিনামূল্যে ৩০ হাজার মেট্রিক টন পটাশ সার দিচ্ছে রাশিয়া। বন্ধুত্ব ও গভীর আন্তরিকতার নিদর্শন হিসেবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এ সার দেবে দেশটি। বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কাজ করা রাশিয়ার ইউরালচেম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী দিমিত্রি কনিয়েভ স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে কৃষি মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে জানানো হয়। জাতিসঙ্ঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আওতায় এ সার বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে।
গতকাল কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত বুধবার ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ান ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত একেতেরিনা সেমেনোভা পত্রটি কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর (অব.) কাছে হস্তান্তর করেন। পত্রের মাধ্যমে জানা যায়, পিজেএসসি ইউরালকালি, রাশিয়া বিশ্বের মধ্যে অন্যতম পটাশ সার উৎপাদনকারী দেশ।
এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়স্থ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন কৃষি উপদেষ্টা মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। শুরুতে কৃষি উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে শুভেচ্ছা জানান। সাক্ষাৎকালে, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, কৃষি পণ্য রফতানি, উন্নত জাতের তুলা চাষ ও গবেষণাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তুরস্কের সাথে বাংলাদেশের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। দেশের টেক্সটাইল যন্ত্রপাতি ও কেমিক্যালের অন্যতম সরবরাহকারী তুরস্ক। কৃষিক্ষেত্রেও তুরস্কের কাজের আগ্রহ জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, বিশ্বের অন্যতম তুলা উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে এ বিষয়ে তাদের দক্ষতা রয়েছে। বাংলাদেশের তুলা উন্নয়নে গবেষণাগার স্থাপন ও উন্নত তুলার ভ্যারাইটি উদ্ভাবনে তার দেশ সহযোগিতা করছে।
রাষ্ট্রদূত কৃষির উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা অনেকাংশেই যন্ত্র নির্ভর হয়ে গেছে। বাংলাদেশ চাইলে তারা এ বিষয়ে কাজ করতে আগ্রহী। কৃষি উপদেষ্টা দেশের কৃষিখাতে তুরস্কের সহযোগিতা আশা করে বলেন, আমরা ইতোমধ্যে চীনসহ বিভিন্ন উৎস হতে কৃষি যন্ত্রপাতি আমদানি করছি, তুরস্ক এ খাতে বিনিয়োগ করতে পারে। আমাদের দেশে কারখানা স্থাপন করলে এ খাত সমৃদ্ধ হবে। বড় বড় কোম্পানি এখানে বিনিয়োগ করতে পারে, এগ্রিকালচার লজিস্টিক, প্রসেসিং খাত দেশে বিকাশমান। দেশ থেকে ফলমূল ও সবজি আমদানির বিষয়েও উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।