ফুলকপির ভালো ফলনেও লাভের মুখ দেখছে না কচুয়ার কৃষকেরা

–কচুয়ার ভূঁইয়ারা মাঠে ফুলকপি হাতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা
লাভের আশায় ফুলকপি চাষ করে এখন বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাঁদপুরের কচুয়ার কৃষকেরা। পাইকারি বাজারে প্রতিটি ফুলকপি ২ থেকে ৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা উৎপাদন খরচ তুলতেই ব্যর্থ।
কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ভোর থেকেই কৃষকরা মাঠ থেকে ফুলকপি তুলে বাজারে আনছেন। তবে আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় কেউ কেউ ফুলকপি নষ্ট করতেও বাধ্য হচ্ছেন। এ উপজেলায় প্রায় ২২ হেক্টর জমিতে ফুলকপির আবাদ করা হয়েছে।
ভূঁইয়ারা গ্রামের কৃষক জাকির হোসেন বলেন, ‘গত বছর ফুলকপির ভালো দাম পেয়েছিলাম। সেই আশায় এ বছর ৩৮ শতক জমিতে আবাদ করেছি। কিন্তু এখন যে দাম, তাতে লাভ তো দূরে থাক, খরচও উঠে আসছে না।’
একই গ্রামের আরেক কৃষক সফিউল্যাহ জানান, ‘চলতি বছর ৭৮ শতাংশ জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। এখন এক থেকে দুই টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে প্রতিটি ফুলকপি। তাও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। ধার-দেনা করে চাষ করেছি, কিন্তু সেই টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হবে না।’
পাইকারি বিক্রেতা বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘প্রতি ফুলকপি উৎপাদনে ৬ থেকে ৮ টাকা খরচ হচ্ছে। কিন্তু বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে ২ থেকে ৩ টাকায়। এতে পরিবহন খরচ ও শ্রমিকের মজুরিও উঠে আসছে না। ফলন ভালো হলেও দাম কম হওয়ায় আমরা সবাই বিপাকে।’
কৃষকদের দাবি, চলতি মৌসুমে ফুলকপির উৎপাদন বেশি হওয়ায় বাজারে এমন দরপতন হয়েছে। এতে একদিকে ভোক্তারা সস্তায় সবজি পেলেও চাষিরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
-মো. মাসুদ রানা, চাঁদপুর
ON/SMA