ঝালকাঠি রাজাপুরে আওয়ামী লীগের ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে আক্রমণ, ১১ জন আহত

ঝালকাঠির রাজাপুরে শুক্তাগড় ইউনিয়নের নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের আকছুর ক্লাব এলাকায় শুক্রবার ভোররাতে আওয়ামী লীগের ইউপি সদস্য আব্দুস সোবাহান হাওলাদার ও তার ছেলে তৌহিদুল ইসলাম চানের নেতৃত্বে ঘুমন্ত বৃদ্ধ আবুল হোসেন মৃধার পরিবারের ওপর হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১১ জন আহত হয়েছে।
হামলার সময় আবুল হোসেন মৃধার বসতঘরে প্রায় অর্ধশত ভাড়াটিয়া লোকজনের স্বশস্ত্র হামলা চালানো হয়। আক্রমণে আবুল হোসেন মৃধাকে সুপারী গাছের সাথে বেঁধে কুপিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। এছাড়াও নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের নারীসহ ৭ সদস্য আহত হয়েছেন। অপরপক্ষেরও ৪ জন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। হামলাকারীরা জমি দখলের উদ্দেশ্যে আক্রমণ পরিচালনা করে বসতঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরে পুলিশ ৩ জন হামলাকারীকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করলেও পরে তাদের ছাড় দিয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ জানিয়েছে। আহতদের মধ্যে আবুল হোসেন মৃধা (৫০) ও তার ছোট ভাই বাবুল হোসেনের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫) রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। অন্যান্য আহতরা হলেন সোহেল মৃধা (২২), পারভীন বেগম (৪৫), শ্যালক কামাল হাওলাদার (৩৩), ইমন (১২), মিম আক্তার (২০) এবং তার ৪ মাস শিশু মাহমুদ।
মোয়াজ্জেম হোসেন মনোয়ার, যিনি ২০১২ সালে আবুলের ফুফুর কাছ থেকে জমি ক্রয় করেন, অভিযোগ করেছেন যে আবুল হোসেনের বসতঘর থেকে জমি দখলের চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি বলেন, “সকালে ফজরের নামাজ পরে হাটতে বের হলে প্রতিপক্ষরা অতর্কিত হামলা করেছে।” অপরপক্ষের ইউপি সদস্যরা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা মারামারিতে যুক্ত ছিলেন না।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন জানিয়েছেন, “দু’গ্রুপের সংঘর্ষের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি আটক করা হয়নি।” তিনি আরও বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
-মো. নাঈম হাসান ঈমন,ঝালকাঠি
ON/RMN