নড়িয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহিংসতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর-ইছাপাশা গ্রামে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় এবং স্কুলে যেতে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, একটি তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যা স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবেশকে অশান্ত করে তোলে। সুরেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় এবং ইছাপাশা ও পশ্চিম সুরেশ্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই ঘটনার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বাধা দেওয়া, শারীরিক হামলা ও ইভটিজিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের বার্ষিক পরীক্ষা দিতে পারেননি এবং পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ও শেষ হয়ে গেছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় জনগণ, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সচেতন নাগরিকরা। তারা জানান, এমন সহিংসতা ও অপ্রীতিকর আচরণ শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, যা শিক্ষা পরিবেশকে চরমভাবে ব্যাহত করছে।
এ প্রসঙ্গে সুরেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জানান, যারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি, তাদের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘এলাকায় ৩ ডিসেম্বর একটি মারামারি হয়, যার প্রভাব আমাদের ওপর এসে পড়েছে। এখানে আমাদের অপরাধ কী? সুরেশ্বর গ্রামের কিছু বখাটে ছেলেরা আমাদের স্কুলে যেতে দেয়নি এবং বার্ষিক পরীক্ষা দিতে দেয়নি। তারা বলেছে, যদি আমরা স্কুলে যাই, তবে তারা আমাদের প্রাণে মেরে ফেলবে। এখন আমরা যে পরীক্ষা দিতে পারলাম না, তার জন্য আমাদের কী হবে?’
মানববন্ধনে উপস্থিত জনগণ প্রশাসনের কাছে দ্রুত সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না। তারা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করার এবং ইভটিজিংসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বলেন, ‘এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় যে, তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ অস্থিতিশীল করা হয়েছে। প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম সুরক্ষিত রাখতে হবে। এছাড়া, যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের কঠিন বিচার করতে হবে।’
-মোঃ জামাল হোসেন, নড়িয়া
ON/RMN