”ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলা মেনে নেয়ার না”-পীর সাহেব চরমোনাই

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মাদারীপুর জেলা শাখার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে শকুনি লেকপার স্বাধীনতা অঙ্গনে একটি গনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ‘ভারত তাদের স্বার্থে আঘাত লাগায় বাংলাদেশের উপর ক্ষেপে গেছে। বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ভারতের স্বার্থে সবকিছু করে দেশকে গিলে খাওয়ার ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছিল। দেশ ভারতের রাহু মুক্ত হয়েছে। ভারতের ইচ্ছা ও অভিপ্রায়ে এখন আর কিছু হচ্ছে না। তাই ভারতের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এখন পায়ে পারা দিয়ে যুদ্ধ বাধানোর চেষ্টা করছে। উগ্রবাদী ইসকনকে দিয়ে সরকারি আইনজীবীকে হত্যা করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় এখন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে উস্কানী দিচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ভারত বিভিন্ন হাইকমিশন, উপ-হাইকমিশনে হামলা ও পতাকা ছিঁড়ে চরম অসভ্যতার পরিচয় দিয়েছে। আমি ভারতের সরকারকে আন্তর্জাতিক আইন এবং ভিয়েনা কনভেনশনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সব কূটনৈতিক মিশন ও কূটনৈতিকদের নিরাপত্তা বিধান করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
পীর সাহেব চরমোনাই দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কারের কথা বলেন, ‘কালো টাকা, পেশীশক্তি ও সন্ত্রাসমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনী ব্যবস্থার বিকল্প নেই। পিআর পদ্ধতির নির্বাচনে ভোটারদের ভোটের প্রকৃত মুল্যায়ন হয়। এছাড়াও, দেশের রাজনীতিকদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার জন্য সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির জাতীয় নির্বাচনের জোর দাবি জানিয়ে আসছে।’
সমাবেশে মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী বলেন, ‘কলকাতা ও আগরতলায় ভারতের সরকার দলীয় উগ্র কর্মীরা বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে হামলা করে দেশে যুদ্ধ চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে। ভারতে বাংলাদেশের প্রতি উস্কানীমূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, কিন্তু আমরা ভারতকে ভয় করিনা। বাংলাদেশে ১৬ কোটি যোদ্ধা ভারতের চক্রান্ত রুখে দিতে প্রস্তুত।’
মাওলানা নুরুল ইসলাম আল-আমিন বলেন, ‘ভারতের মিডিয়াগুলো বাংলাদেশে জঙ্গি থাকার মিথ্যা প্রচার করছে, কিন্তু বাংলাদেশে কোন জঙ্গি নেই। বাংলাদেশের মুসলমানরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে।’
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে হাজ্বী আজিজুল হক মল্লিক বলেন, ‘ভারত সরকারের উস্কানিতে আগরতলা উপ-হাইকমিশনে হামলা হয়েছে। ভারত বিরোধী নয়, বরং সকল দেশবাসী শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চায়। তবে, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।’
-ইসমাইল খান হৃদয়, মাদারীপুর
ON/RMN