শাহজাহান ওমরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর, কারাগারে স্থানান্তর

ঝালকাঠি-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং আলোচিত-সমালোচিত নেতা ব্যরিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে আদালতে হাজির করা হয় শাহজাহান ওমরকে। এদিন প্রিজন ভ্যান থেকে নেমেই গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সেদিন যারা ডিম ও জুতা নিয়ে আসছিলো, আজ সেই দুষ্টু লোকেরা কোথায়?’
এর আগে, ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া থানার একটি মামলায় তিনি ঝালকাঠি কারাগারে বন্দি রয়েছেন। আদালতে তোলার পর শাহজাহান ওমরের জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী নাসির উদ্দিন কবির এবং বনি আমিন বাকলাই। তবে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাসেল আহমেদ বিচারকের নেতৃত্বে আদালত শাহজাহান ওমর ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামানসহ আওয়ামী লীগের ৫ জন নেতার জামিন আবেদন খারিজ করে তাদের পুনরায় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এছাড়া, রাজাপুর উপজেলা বিএনপি অফিসে ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. তালুকদার আবুল কালাম আজাদের দায়ের করা মামলায় (মামলা নং-৫) শাহজাহান ওমর, রাজাপুর উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনির, ইউপি সদস্য মো. রাসেল ও তাওহীদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তরিকুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক পুলক চন্দ্র রায়।
২১ নভেম্বর গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতে হাজির করার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা ও বিএনপি ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা শাহজাহান ওমরের দিকে ডিম এবং জুতা নিক্ষেপ করেন। আদালত চত্বরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ওইদিন কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়, যেখানে পুলিশ, র্যাব এবং সেনাবাহিনী তিন স্তরে নিরাপত্তা প্রদান করেছিল।
কারাগারে নেয়া সময় শাহজাহান ওমর গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘রাজাপুরের যে বাড়িটা আগুন দিয়েছে বলে সেটা আমার নিজের সম্পত্তির উপর নির্মিত বাড়ি। আমি ওইদিন বাড়িতে ছিলাম না। ৩০ তারিখে সন্ধ্যায় আমি ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করি, এটা বিভিন্ন মিডিয়ায় রেকর্ড আছে। ঝালকাঠি ডিসি অফিসে রেকর্ড আছে। এটা মিথ্যা মামলা। আমার নিজের বাড়ি আমি কখনোই আগুন দেবো না। কারাগারে থাকা এটা কোনো ঘটনা নয়। আমি আবার সংসদ নির্বাচন করবো।’
ওমরের আইনজীবী নাসির উদ্দিন কবির জানান, রাজাপুরের বিস্ফোরক মামলায় পুলিশ শাহজাহান ওমরসহ ৫ জনের গ্রেফতারের আবেদন করলে আদালত তাদের গ্রেফতার করে। ৫ মে, ওমর দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য ছিলেন এবং তিনি এই ঘটনায় জড়িত নন। তাদের জামিন আবেদন আদালত খারিজ করেছে।
-মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি
ON/RMN