আলু চাষ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন লালমনিরহাটের কৃষকেরা

লালমনিরহাটে আগাম জাতের আলুর চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। নভেম্বর মাসের শুরু থেকে উঁচু জমিতে আলু চাষ শুরু হয়েছে।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, এ বছর জেলায় ৬,৫০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হবে এবং প্রতি হেক্টর থেকে ২৯ টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জেলার সদর উপজেলার বেশ কিছু জমিতে আগাম জাতের আলুর পরিচর্যা চলছে। এসব জমির গাছ সবুজ হয়ে উঠেছে। কৃষক আব্দুল মজিদ (৬০) বলেন, ‘আলু রোপণের জন্য প্রতি বিঘায় ৮-১০ মণ বীজ লাগে। ৫০-৬০ দিনের মধ্যে ৪৫-৬০ মণ আলু পাওয়া যায়। তবে এবছর বীজ, কীটনাশক ও শ্রমিকদের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।’
কৃষি কর্মকর্তাদের মতে, আগাম জাতের আলু সাধারণত ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি বাজারে আসে। দ্রুত ফলন পাওয়া এবং বাজারে ভালো দাম হওয়ায় কৃষকরা আগাম আলু চাষে বেশি আগ্রহী।
সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার সোহায়েল আহমেদ জানান,
‘চলতি বছর সদর উপজেলায় ৩,৭০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া আলু চাষের জন্য খুবই উপযোগী।’
রাসায়নিক সার ব্যবসায়ী জাহিদ হোসেন জানান, এক একর জমিতে আলু চাষ করতে ৬০০-৭০০ কেজি বীজ লাগে। জমির উপযোগিতা অনুযায়ী প্রতি একরে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক ও জৈবসার ব্যবহার করতে হয়। তিনি বলেন, ‘এক একরে ৪-৫ টন জৈবসার ব্যবহার করলে ফলন ভালো পাওয়া যায়।’
পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের কৃষক আজিত হাসান বলেন, ‘আগাম আলুর রোগবালাই কম হয়। বাজারে ভালো দাম পাওয়ার আশায় এবার আমি ১ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. সাইফুল আরিফিন জানান, লালমনিরহাট সদর উপজেলা থেকেই জেলার মোট আলু উৎপাদনের প্রায় ৫০ শতাংশ আসে। কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তারা কাজ করছেন।
-সাব্বির হোসেন, লালমনিরহাট
ON/MRF