ডোমারে নারীর মৃত্যু: সড়ক দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যা?

নীলফামারীর ডোমারে ফোয়ারা সুলতানা (৫৩) নামের এক নারীর মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। বৃহস্পতি বার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার গোমনাতী পাঙ্গা বাজারের স্কুলপাড়া গ্রামের এক নির্মাণাধীন বাড়ির সামনে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত ফোয়ারা সুলতানা ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের উত্তর গোসাইগঞ্জ এলাকার মৃত রহমত আলীর স্ত্রী।
মৃত নারীর ছেলে জাফর ইকবাল জানান, ‘আমার মা একাই বাড়িতে থাকেন। আমি জলঢাকায় থাকি। মা মাঝে মাঝে আমার ওখানে যাতায়াত করতেন। আজ লোক মারফত খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মায়ের মরদেহ দেখতে পাই। কীভাবে মারা গেছে, তা জানি না।’
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, এক অজ্ঞাত যুবক মোটরসাইকেলে ওই নারীকে নিয়ে এসে পাঙ্গা স্কুলপাড়া এলাকার ফাঁকা জায়গায় রেখে পানির জন্য চিৎকার করে। আশপাশের লোকজন পানি নিয়ে এলে সেই যুবক মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকা ফোয়ারা সুলতানাকে উদ্ধার করে অটোতে তোলার পরই উপস্থিত জনতা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডোমার থানা এসআই মিজানুর রহমান জানান, এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, একজন ব্যক্তি দুর্ঘটনার কথা বলে পানির জন্য চিৎকার করে। আহত অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য অটোতে তোলা হলেও পরে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। যুবকটি এরই মধ্যে পালিয়ে যায়।
ডোমার থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই কাজল কুমার রায় জানান, ‘মরদেহ উদ্ধার করে পরিচয় নিশ্চিত করতে এনআইডি কার্ড পাওয়া গেছে। স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
ঘটনাটি সড়ক দুর্ঘটনা নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে, তা নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে রহস্য বিরাজ করছে। তদন্ত চলছে।
-রাকিবুল হাসান, ডোমার
ON/MRF