অটোরিকশার ধাক্কায় জাবি ছাত্রী নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত চালক আটক
অটোরিকশার ধাক্কায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত রিকশাচালক আরজুকে আটক করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। রবিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের গেরুয়া এলাকা থেকে আটক করা হয়। রাতে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
দুর্ঘটনার সময় পথচারী নাঈম ও রিকশায় যাত্রী হিসেবে থাকা আবু হায়াত ও নাহিদ তাকে শনাক্ত করেন। রিকশার যাত্রী দুইজন রিকশা শনাক্ত করে বলেন, চালক বসার সিট বদল করেছেন। রিকশায় নতুন করে রঙও করা হয়েছে। তবে, রিকশার ভাঙা লাইট ওইভাবেই রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর অফিসে রিকশাটি নিয়ে আসা হলে সেটি পরীক্ষা করে দেখেন পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষীরা। রিকশায় নতুন রঙের গন্ধ ও নতুন হুড লাগানোর আলামত পেয়েছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, বিভিন্ন সূত্র ধরে চালককে খুঁজে পাওয়া গেছে। চালক তার বাম হাতে ব্যাথার কথা উল্লেখ করলে তাকে চিকিৎসা দেয়া চিকিৎসকের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে সম্প্রতি কোথাও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি। দুর্ঘটনয়া থেকেই এই আঘাত পেয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অভিযুক্ত চালকের বক্তব্যের সূত্র ধরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রবিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরের আগেই তিনি রিকশাটি সাভারের ছায়াবিথী এলাকার ‘মাসুদ অটো পার্টস’র মালিক মাসুদের কাছে মাত্র ৭৫ হাজার টাকায় রিকশাটি বিক্রি করে দেন। এমনকি সন্দেহ থেকে বাঁচতে বিক্রির দলিলে দুর্ঘটনার আগের দিন ১৮ নভেম্বরের তারিখ উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিকশাচালক আরজু বলেন, আমি আসলে রিকশা চালাই না। ১৫ দিন আগে থেকেই আমার হাতে ব্যথা ছিল। রিকশার ব্যাটারি একটু খারাপ ছিল দেখে কম দামে বেচে দিছি। আমি ওই দিন জাহাঙ্গীরনগরে ছিলাম না।
এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার এসআই অলক কুমার বলেন, তাকে সন্দেহের মূল কারণ- তার মোবাইল ট্র্যাক করে দেখা গেছে, সে ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগরে ছিল। তার কথাবার্তাও অসংলগ্ন। এছাড়া রিকশা বিক্রির চেষ্টাও করেছেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
সূত্র : বাংলাভিশন
on/abr