পুলিশ ও সেনাবাহিনীর পাহারায় মহাখালীতে যান চলাচল শুরু
প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা অবরোধের পর আজ বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার কিছু আগে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তৎপরতায় ঢাকার মহাখালী এলাকায় যান চলাচল শুরু হয়েছে। তবে বিক্ষুব্ধ রিকশাচালকেরা এখনো মহাখালীসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছেন। সেনা ও পুলিশ সদস্যরা রিকশাচালকদের সরানোর জন্য ধাওয়া দিলে তারা মূল সড়ক ও রেলপথ ছেড়ে সরে যান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কয়েকজন চালককে লাঠিপেটা করার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং যান চলাচল শুরু হয়।
সকাল থেকে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে রাজধানীর ১৩টি স্থানে সড়ক অবরোধ করেন রিকশাচালকেরা। এর ফলে মহাখালী, গাবতলী, রামপুরা, তেজগাঁও, মগবাজার, যাত্রাবাড়ী, এবং মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
বিক্ষোভকারী রিকশাচালকেরা বলছেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ হলে তাদের জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে অন্তত এক লাখ মানুষ এবং তাদের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ইসমাইল হোসেন নামের এক চালক বলেন, ‘সরকার যদি এভাবে কোনো কথা না বলে রিকশা বন্ধ করে দেয়, তাহলে আমরা কীভাবে খাব? যতক্ষণ পর্যন্ত রিকশা চালানোর অনুমতি না দেওয়া হবে, ততক্ষণ সড়ক ছাড়ব না।’
ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমেঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে
তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ রুহুল কবীর খান জানান, মোহাম্মদপুর, আগারগাঁও এবং নাখালপাড়ায় বন্ধ থাকা সড়কের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পুলিশ-সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনার পরও সরানো যাচ্ছে না রিকশাচালকদেরপুলিশ-সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনার পরও সরানো যাচ্ছে না রিকশাচালকদের
মঙ্গলবার প্যাডেলচালিত রিকশা সমিতির একটি রিটের শুনানি শেষে উচ্চ আদালত তিন দিনের মধ্যে ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেন। আদালত জানায়, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই, তাই এটি পুরোপুরি অবৈধ।’
সূত্র : আজকের পত্রিকা
on/abr