পাঠ্যপুস্তকের ক্রুটি কমাতে চেষ্টা করছে সরকার
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, নতুন পাঠ্যপুস্তকে ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করার চেষ্টা করা হচ্ছে, বই হাতে পেলেই বুঝা যাবে কতটুকু ফলপ্রসু হওয়া গেছে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় সুনামগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় ব ললেন,
আমি এখানে এসে আবেগে আপ্লুত। ১৯৭৯ সালে এই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ থেকেই এসএসসি পাস করেছি। এখানে কাঠের স্ট্রাকচারের উপরে শ্রেণিকক্ষ ছিল। এর নীচ দিয়ে পাহাড়ী ঢল ও বন্যার পানি যেত। এখানকার স্কুল ম্যাগাজিন থেকে আমি লেখালেখিতে আগ্রহী হয়েছিলাম।
তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি, অতিরিক্ত কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের অভ্যস্ত ও আগ্রহী করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠকে পরিচ্ছন্ন এবং সবসময় খেলাধুলার উপযোগী করে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
সরকারি জুবিলীর শিক্ষা জীবনের নানা স্মৃতি বর্ণনা করে তিনি এখান থেকে মাঝপথে একদিন থেকে নৌ-পথে নিজের বাড়ী সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে যাবার স্মৃতিও তুলে ধরেন।
এসময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সাখাওয়াৎ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) বিরোধা রানী রায়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান, সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) এনামুল হাসান শাহীন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন। এর আগে উপদেষ্টা সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ক্লাস পার্টিতে অংশ নেন উপদেষ্টা। তিনি জুবিলীর দুটি ছাত্র হোস্টেল। পাশের শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং লঞ্চঘাট পরিদর্শন করেন।
-জাকারিয়া আহমদ, সুনামগঞ্জ
ON/RBL