‘চাঁদা না দিলে পাইপ ভেঙে ফেলবে’—রাজাপুরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম চাড়াখালী এলাকায় চাঁদার দাবিতে বালু ভরাটে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শিক্ষক বরকতের (৪০) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে রাজাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম চাড়াখালী গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে মো. মফিজুল ইসলাম (২৫) জমিতে বালু ভরাট করতে গেলে শিক্ষক বরকত ৫০% চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় তাকে গালিগালাজ ও মামলা-মারধরের হুমকি দেওয়া হয়। ২৩ জানুয়ারি বিকেলে বরকত ও তার সহযোগীরা মফিজুল ইসলামকে মারধর করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বরকত এলাকায় চাঁদাবাজি ও জমি দখলের সঙ্গে জড়িত। মিজান জোমাদ্দার নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, ‘আমি কারাগারে থাকার সুযোগে আমার ১৫ শতাংশ জমির ধান কেটে নিয়েছে বরকত। আমার বোনের কাছে ২১ শতাংশ জমি কিনলেও সে জোর করে ৪৫ শতাংশ দখল করে নিয়েছে।’
স্থানীয় মো. আলম হোসেন বলেন, ‘আমাদের জমিতে বালু ফেলতে হলে বরকতকে চাঁদা দিতে হয়েছে। এমনকি ইট রাখার ক্ষেত্রেও টাকা দিতে হয়েছে। চাঁদা না দিলে মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দেওয়া হয়।’
বালু ব্যবসায়ী জুয়েল ফরাজি বলেন, ‘আমার ভায়রাভাইয়ের জমিতে বালু ভরাট করতে গেলে বরকত চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে পাইপ ভেঙে ফেলার হুমকি দেন।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক বরকত ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা।’ সাংবাদিকদের কাছে চাঁদা দাবির ভিডিও রেকর্ড থাকার কথা জানালে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে কেউ অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
-মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি
ON/RMN