লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে সার না দেয়ায় কৃষি কর্মকর্তা অবরুদ্ধ

কালীগঞ্জ উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজাদ সারের জন্য টোকেন দিতে গিয়ে ৮ জানুয়ারি, বুধবার, কৃষকদের দ্বারা অবরুদ্ধ হন। চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদে সারের জন্য উপস্থিত কৃষকরা তাঁকে ঘিরে ফেলেন এবং অবরুদ্ধ করে রাখেন।
কৃষকরা জানান, রবি মৌসুমে আলু, সরিষা, ভুট্টা ও তামাকসহ বিভিন্ন সবজি চাষের জন্য প্রচুর পরিমাণ সারের প্রয়োজন। কিছু অসাধু বিক্রেতা সারের মজুদ করে কালোবাজারে বিক্রি করায় সারের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি নিবন্ধিত বিক্রেতাদের কাছে ন্যায্যমূল্যে সার না পাওয়ায় কৃষকরা উপ-সহকারী কর্মকর্তার টোকেন সংগ্রহের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন। টোকেন পেয়ে কিছু কৃষক সার পেলেও বাকিরা সারের অভাবে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজাদ জানিয়ে দেন যে, তিনি মাত্র ৩৫-৪০ জন কৃষককে টোকেন দিতে পারছেন, এরপর সারের সংকটের কারণে টোকেন দেওয়া বন্ধ করতে হয়। এই ঘোষণার পর কৃষকরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে অবরুদ্ধ করেন। পরে তিনি কৌশলে পালিয়ে রক্ষা পান। কৃষকরা বলেন, “লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও সার না পেয়ে আমরা ক্ষোভ প্রকাশ করছি।”
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার তুষার কান্তি রায় বলেন, ‘কিছু কৃষক প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সার মজুদ করেছে, যার কারণে সংকট সৃষ্টি হয়েছে।’ তিনি কৃষকদের সঠিক পরিমাণে সার কিনে মজুদ না করার অনুরোধ জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার তুমপা জানান, ‘চাহিদার অর্ধেক বরাদ্দ পাওয়ায় সারের সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তবে এটি পর্যায়ক্রমে সমাধান হবে।’
-সাব্বির হোসেন, লালমনিরহাট
ON/RMN