প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে সাড়ে ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ

নলছিটি উপজেলার অনুরাগ গৌরীপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রায় ১০ লাখ ৫২ হাজার টাকা আত্মসাতসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর একটি অভিযোগ পত্র দিয়েছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিদ্যালয়ের উন্নয়ন খাতে বরাদ্দকৃত বিভিন্ন টাকার ব্যবহার সঠিকভাবে হয়নি এবং তা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ২০১৮-১৯ থেকে ২০২৩-২৪ পর্যন্ত বিভিন্ন বরাদ্দের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল মাইনর মেরামত, স্লিপ বরাদ্দ, প্রাকপ্রাথমিক খাত, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, এবং অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বরাদ্দ টাকা, যা সঠিকভাবে কাজে লাগানো হয়নি। বিশেষত, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে কিছু বেঞ্চে রং এবং একটি শহীদ মিনার তৈরির ছাড়া অন্য কোন কাজ করা হয়নি।
অভিভাবকরা আরও দাবি করেন যে, প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের উপস্থিতি অনিয়মিত ছিল এবং তিনি প্রায় সময়ই বিদ্যালয়ে না এসে শহরে ঘুরে বেড়াতেন, ফলে শিক্ষাদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছিল। বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাও নষ্ট হচ্ছিল। পাশাপাশি, সভাপতির সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে ওয়াশবøক নির্মাণের ফলে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম দাবি করেন, “২০১৮ সালের জুন মাসে আমি এ স্কুলে যোগদান করি এবং বরাদ্দ আসার পরই যথাযথভাবে কাজ করেছি। বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের ৩১ তারিখে চাকরির মেয়াদ শেষ হবে এবং বদলির কারণে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।”
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “আমি ওই বিদ্যালয়ে এক মেয়াদে সভাপতি ছিলাম। সে সময়ে বরাদ্দ সঠিকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে, যার ভাউচার প্রধান শিক্ষকের কাছে রয়েছে। আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে।”
এ বিষয়ে নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, “বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
-মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি
ON/RMN