কচুয়ায় সমলয় পদ্ধতিতে বোরো চাষ: স্বল্প খরচে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা

চাঁদপুরের কচুয়ায় সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধানের চাষাবাদ শুরু হয়েছে, যা কৃষকের সময়, শ্রম ও খরচ কমিয়ে অধিক লাভের সুযোগ করে দিচ্ছে। আধুনিক রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিন ব্যবহার করে এ পদ্ধতিতে বোরো ধান আবাদ হচ্ছে। কৃষি বাণিজ্যিকীকরণের আওতায় আনা এই উদ্যোগের মাধ্যমে কৃষিকে আরও সহজ ও সাশ্রয়ী করতে সরকার বিভিন্ন প্রণোদনা ও আধুনিক সরঞ্জাম কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।
কচুয়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের প্রসন্নকাপ গ্রামে ৫০ একর জমিতে ৮০ জন কৃষক হাইব্রিড বোরো ধানের চাষ করছেন। রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনের সাহায্যে ২৫ থেকে ৩০ দিনের চারা রোপণ করা সম্ভব হচ্ছে, যা সময় ও শ্রমের সাশ্রয় ঘটাচ্ছে। একইসঙ্গে, ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই ও বস্তাবন্দি করার কাজও কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে।
প্রসন্নকাপ এলাকার কৃষক আলাউদ্দিন ও হারুন জানান, ‘মেশিনের মাধ্যমে ২০ মিনিটে ৩০ শতাংশ জমির চারা রোপণ করা সম্ভব হয়েছে। আগের পদ্ধতিতে চারা রোপণে সময়, খরচ ও শ্রম বেশি লাগত। এই পদ্ধতিতে চাষ করতে পেরে আমরা সন্তুষ্ট।’
কচুয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘সমলয় পদ্ধতিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে চাষাবাদে কৃষকের খরচ ২০ থেকে ৪০ শতাংশ কমে। এতে সময় ও শ্রম সাশ্রয় হয়। কৃষকরা এই পদ্ধতিতে আবাদে আরও বেশি আগ্রহী হচ্ছেন। সরকারের লক্ষ্য কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে কৃষকদের স্বাবলম্বী করা এবং দেশের উৎপাদন ঘাটতি কমানো।’
এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে চাষাবাদ আরও আধুনিক ও লাভজনক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
-মো. মাসুদ রানা
ON/SMA