ঘাস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে রাস্তার পাশে ঘাস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে অনেক পরিবার। নিকরাইল, গোবিন্দাসী ইউনিয়নগুলোর স্থানীয় বাজারে মাছ, মাংস, শাকসবজি ছাড়াও গৃহপালিত পশুর খাবারের বিভিন্ন ধরনের কাঁচা ঘাস বিক্রির দৃশ্য দেখা যায়। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বাজারগুলোতে এই ঘাস বিক্রির চাহনি দেখা যায়। কৃষকেরা যমুনা নদীর বিভিন্ন চরাঞ্চল থেকে ঘাস সংগ্রহ করে বাজারে আনে এবং আঁটিতে সাজিয়ে বিক্রি করে ১০ থেকে ১৫ টাকায়। পাইকারি ও খুচরা দুইভাবে ঘাস বিক্রি করা হয়।
ঘাস বিক্রেতাদের সাথে কথাবার্তা থেকে জানা যায়, বাজারে ঘাস বিক্রি করতে আসা ৮০% লোকই কৃষক। তারা যমুনা নদীর বিভিন্ন চর থেকে কাঁচা ঘাস সংগ্রহ করে গৃহপালিত পশুর খাদ্য চাহিদা মেটাতে এবং অবশিষ্ট ঘাস বাজারে বিক্রি করে। ‘এই ঘাস বিক্রি করে আমরা আয়ের একটি স্থায়ী উৎস পেয়েছি,’ একজন কৃষক বলেন। শুরুতে কয়েকজন কৃষক ঘাস বিক্রি করলেও এখন অনেকেই এই পেশায় যুক্ত হচ্ছে, যা তাদের আর্থিকভাবে সাবলম্বী করছে।
ক্রেতাদের সাথে কথাবার্তা থেকে জানা যায়, প্রথম দিকে এই অঞ্চলে গরুর খামারের সংখ্যা কম ছিল, কিন্তু এখন বৃদ্ধি পাওয়ায় কাঁচা ঘাসের চাহিদাও অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। গরুর খামারে কাজ করা মালিকরা বাজার থেকে ঘাস ক্রয় করে তাদের পশু খাদ্য চাহিদা মেটাচ্ছেন। তারা আরও জানান, ‘বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে কাঁচা ঘাস পাওয়া যায়।’
ভুয়াপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সুকুমার চন্দ্র বলেন, ‘এই অঞ্চলে যমুনার বুকে পাওয়া কাঁচা ঘাসগুলো প্রাকৃতিকভাবে জন্মায়। গৃহপালিত প্রাণিকে খাওয়ালে তাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তবে, প্রতি তিন মাস অন্তর প্রাণীগুলিকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো প্রয়োজন, কারণ প্রাকৃতিকভাবে বৃদ্ধি পেলে পরজীবী সংক্রমণ থাকতে পারে।’
-সাজেদুল ইসলাম,ভূঞাপুর,টাঙ্গাইল
ON/RMN