স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যায় নতুন মোড়: জেসমিন আক্তার কারাগারে

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কাজী জিয়াউল ইসলাম ফুয়াদকে হত্যা মামলায় ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান কাজী জেসমিন আক্তারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দ্বিতীয় আদালত) মো. রুবেল শেখ-এর এজলাসে তিনি হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি আদালতের জিআরও এনামুল হাসান নিশ্চিত করেছেন।
চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি রাতে সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে কাজী জিয়াউল ইসলাম ফুয়াদকে চৌদ্দবুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরদিন ৮ জানুয়ারি নিহতের বড় ভাই ফয়সল কাজী অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে নলছিটি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে ১১ ফেব্রুয়ারি উপজেলার খাজুরিয়া এলাকার তিন রাস্তার মোড় থেকে সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১২ মার্চ সিদ্ধকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রফিকুল ইসলাম হাওলাদার এবং একই সময় চৌদ্দবুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী মো. শাহাদাত হোসেনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তিনজনের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে ৩০ মার্চ রাতে ইউপি চেয়ারম্যান কাজী জেসমিন আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার বাদী ফয়সল হোসেন কাজী জানান, ‘অভিযুক্ত চেয়ারম্যান উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। পরে হাইকোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করলে তার জামিন বাতিল হয়ে যায়। সোমবার পুনরায় ঝালকাঠির আদালতে হাজির হয়ে জামিন চান জেসমিন কাজী। জামিন না দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।’
-মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি
ON/RMN