ময়মনসিংহ জিলা স্কুল-২০০০ ব্যাচের সিলভার জুবলি আয়োজনে কমিটি

ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের ২০০০ ব্যাচ তাদের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে জাঁকজমকপূর্ণ রজতজয়ন্তী (সিলভার জুবলী) অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। আগামী ২৫ ও ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫—এই দুই দিনব্যাপী স্কুল প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হবে স্মরণীয় এ মিলনমেলার।
গত ১০ মে শনিবার ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে এক আলোচনা সভার মাধ্যমে এ অনুষ্ঠান আয়োজনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের জনপ্রিয় তারকা ও ২০০০ ব্যাচের গর্ব মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এ সময় প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সালামের উপস্থিতিতে মূল আয়োজক কমিটি ও একাধিক উপকমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়। কমিটির প্রধান উপদেষ্টা মনোনীত হয়েছেন বর্তমান প্রধান শিক্ষক জনাব মো. আব্দুস সালাম। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন আরেফিন আকন্দ চমন এবং জেনারেল সেক্রেটারির দায়িত্ব পেয়েছেন মো. হাবিব উল্লাহ বাবু।
আলোচনা সভায় ব্যাচটির প্রায় ৩০-৪০ জন প্রাক্তন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। আয়োজকরা জানান, দেশের ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা এই ব্যাচের সদস্যরা স্কুলের গৌরব বহন করে চলেছেন। ২৫ বছর পূর্তির এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য, বন্ধুবান্ধব ও পরিবার-পরিজন নিয়ে স্কুল প্রাঙ্গণে একত্রিত হয়ে স্মৃতিচারণ ও আনন্দঘন সময় কাটানো, সেই সঙ্গে স্কুলের উন্নয়নে কিছু উদ্ভাবনী পরিকল্পনা গ্রহণ।
আয়োজকরা আরও জানান, ২০২৫ সালের ১ জুন থেকে ময়মনসিংহ জিলা স্কুল অডিটোরিয়ামে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হবে। রেজিস্ট্রেশন চলবে অনলাইনে ও অফলাইনে ৩১ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সালাম আয়োজকদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন এবং প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা করবেন বলে জানান।
আলোচনা সভার বিশেষ মুহূর্তে স্কুলের বর্তমান ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা জাতীয় ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানান। এরপর তিনি স্কুলের কয়েকশত বর্তমান ছাত্র ও শিক্ষকের সঙ্গে ফটোসেশন করেন। শিক্ষার্থীরা তাকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ে। অনেক ছাত্র-ছাত্রী তাকে অটোগ্রাফ দেওয়ার অনুরোধ করলে, তিনি হাসিমুখে সাড়া দেন।
রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানটি শুধু জিলা স্কুল নয়, বরং বাংলাদেশের স্কুল-ভিত্তিক রিইউনিয়ন আয়োজনের এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে আয়োজকদের আশা।