নাগেশ্বরীর গুচ্ছগ্রামে ৬৫টি ঘর লুটপাটের অভিযোগ

নাগেশ্বরীর নুনখাওয়া ইউনিয়নের ফকিরগঞ্জ গুচ্ছগ্রামে ৬৫টি ঘর লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। ১ কোটি টাকা ব্যায়ে সরকারের ও ভিডিআরপি’র অর্থায়নে নির্মিত এসব ঘর রাতে লুট হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, ৯ আগস্ট রাতের অন্ধকারে প্রভাবশালী একটি মহল তাদের ঘরের টিন, সিড়ি, এ্যাংগেল ও টিউবওয়েল লুটপাট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনা ঘটেছে সরকারের পতনের পর থেকেই। স্থানীয়রা জানায়, সাবেক ইউপি সদস্য মো: তাজুল মিয়া, তার ছেলে জামাতা এবং আত্মীয়দের সহযোগিতায় এসব ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগীরা আরও জানান, সাবেক ইউপি সদস্য তাজুল মিয়া ২০২২ সালে বিএনপির ওয়ার্ড কমিটির সদস্য ছিলেন। তবে, তিনি আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির পক্ষে ভোট চাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। অন্যদিকে, তাজুল মিয়া দাবি করেছেন, তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না।
এ বিষয়ে নুনখাওয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো: তাইজুল ইসলাম বলেন, ‘সাবেক মেম্বার তাজুল ২০২২ সালে বিএনপির ওয়ার্ড কমিটির সদস্য ছিলেন, তবে সে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির পক্ষে ভোট চাওয়ার বিষয়টি সত্য।’
এ ঘটনার পর উপজেলা প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ঘটনার আবেদন পেয়েছি। তদন্তের জন্য একটি টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ফিরোজ কবির। তিনি জানান, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমরা প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় সে অনুসারে ব্যবস্থা নেবেন।’
এদিকে, গুচ্ছগ্রামের ভুক্তভোগী পরিবারগুলো অতি দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
-জাহিদ খান, কুড়িগ্রাম
ON/RMN