হাতীবান্ধায় সরকারি চাল ও ধান সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন

হাতীবান্ধা উপজেলার খাদ্য গুদামে সরকারি ধান ও চাল ক্রয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বছর উপজেলার সিদ্ধ চালের বরাদ্দ ২৭৭ মেট্রিক টন এবং ধান ১২০০ মেট্রিক টন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ দুলাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত), এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন মোঃ মিজানুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, মোঃ মিজানুর রহমান, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা কর্মচারী, কৃষক এবং মিল মালিকরা।
এ বছর সরকারি সিদ্ধ চাল সংগ্রহের দাম ধরা হয়েছে ৪৭ টাকা প্রতি কেজি এবং ধান প্রতি মণ ১৩২০ টাকা। সরকারের এই ক্রয় কর্মসূচি ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত চলমান থাকবে। কৃষকরা অ্যাপসের মাধ্যমে তাদের ধান জমা দিতে পারবেন এবং লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত কৃষকদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাংক একাউন্টে টাকা স্থানান্তরিত হবে।
কিন্তু কিছু কৃষক ও মিল মালিকদের মধ্যে এ বছর সরকারি ক্রয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তমাল রায়, একজন সাধারণ কৃষক, বলেন, ‘ধানের আজকের বাজার মূল্য ১৩০০ টাকা, আর সরকার রেট দিয়েছে ১৩২০ টাকা, কিভাবে ধান জমা দিব?’ আরেক কৃষক, আমিনুর রহমান আমিন, বলেন, ‘প্রতিবছর আমার পরিবারের দুই একজনের নামে গোডাউনে ধান দেয়ার সুযোগ হতো, কিন্তু এ বছর ধানের দাম এত বেশি যে এটি অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
হাতীবান্ধা চাল মিল মালিক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল করিম বলেন, ‘আমরা মিল মালিকগণ বুঝতে পারছি না কিভাবে এই ধানের বাজারে বরাদ্দের চাউল জমা দিব। আশা করি সরকার আমাদের ব্যাপারে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।’
প্রধান অতিথি মোঃ দুলাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বলেন, ‘সরকার যে সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান গ্রহন করছেন, তাতে কৃষকরা কোন প্রকার মাধ্যম ছাড়াই নিজেদের উৎপাদিত ধান সরকারি গুদামে জমা দিতে পারছেন। এটি কৃষিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।’
এদিকে, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, মোঃ মিজানুর রহমান, বলেন, ‘সরকার দ্রুতই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিবেন কারণ সরকারের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চাল ক্রয় করতেই হবে।’ উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা, জনাব গাজী, বলেন, ‘আমার অতীত অভিজ্ঞতা থেকে মনে হচ্ছে সরকার দ্রুতই বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে এবং আমরা বরাদ্দকৃত ধান ও চাল ক্রয় করতে সক্ষম হব।’
-সাব্বির হোসেন, হাতীবান্ধা, লালমনিরহাট
ON/RMN