জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা সংস্কার, ভিসি কোটা ও মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা বাতিলের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন একদল শিক্ষার্থী। আজ রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী কাউসার আলমের সঞ্চালনায় সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জিয়া উদ্দিন, ইতিহাস বিভাগ ছাত্র সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) শাকিল আলী, ইংরেজি বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়ের শাবাব প্রমুখ বক্তব্য দেন।
জিয়া উদ্দিন বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁরা স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের অন্যতম কাজ হওয়া উচিত, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষায় এমন বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতির সংস্কার করা। তাঁরা দেখেছেন, একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ৭০ শতাংশ নম্বর পেয়েও ভর্তি হতে পারেন না, অথচ কোটাধারী ৩০ শতাংশ নম্বর পেয়ে ভর্তির সুযোগ পান। তাঁরা আসন্ন ভর্তি পরীক্ষার আগেই বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি সংস্কার করার দাবি জানান।
মানববন্ধনে শাকিল আলী বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি ছিল বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা। যে কোটা ব্যবস্থার জন্য ছাত্ররা জীবন দিয়েছেন, সেটা বাতিলের জন্য এখনো মাঠে নামতে হচ্ছে। কোটা থাকবে তবে সেটা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য। কিন্তু পোষ্য কোটাধারীরা কীভাবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হয়। এ ছাড়া ভিসি কোটা পুরোপুরি অযৌক্তিক। এ কোটার জন্য আমলারা, এমপি-মন্ত্রীরা কল দেন। যাঁরা যত বেশি টাকা ঢালতে পারেন, সেই ভর্তির সুযোগ পান। অতি দ্রুত এগুলো বাতিল করতে হবে।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের শাবাব বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বর পেয়ে ভর্তির সুযোগ পান না, অন্যদিকে মাত্র ২৬ নম্বর পেয়ে পোষ্য কোটাধারীরা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। এই বৈষম্য জাহাঙ্গীরনগরে চলবে না। যদি পোষ্য কোটা রাখতে হয়, তাহলে যৌক্তিক সংস্কার করে রাখতে হবে। আমরা দেখেছি এই পোষ্য কোটায় যাঁরা ভর্তি হন, তাঁরা কীভাবে ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালান। তাঁরা জাহাঙ্গীরনগরের পরিবেশে বেড়ে উঠে, ক্যাম্পাসের সব বিষয়ে তাঁদের আগে থেকে ধারণা থাকে এবং শিক্ষার্থী হয়ে তাঁরা বিষয়গুলো কাজে লাগান। তাঁরা মাদক সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটসহ সব ধরনের সিন্ডিকেটে জড়িত থাকেন।’ তিনি দ্রুত কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবি জানান।
সুত্র: প্রথম আলো
ON/RMN