শেরপুরে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি পেলেন ৩৯ জন

শেরপুরে ১২০ টাকার আবেদন ফি দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে ৩৯ জন প্রার্থী নিয়োগ পেয়েছেন। শেরপুর জেলা পুলিশের তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হওয়া এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শতভাগ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়েছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে শেরপুর পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাসে আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত, মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুসারে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন জেলা পুলিশ সুপার এবং টিআরসি নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘শতভাগ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের প্রশিক্ষণ শেষে সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৩৯ জনের শূন্য পদের বিপরীতে প্রাথমিক স্ক্রিনিংয়ে অংশ নেন ৩,৪৪১ জন। শারীরিক মাপ ও সক্ষমতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৫৮১ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২৩৬ জন প্রার্থীর মধ্যে থেকে চূড়ান্তভাবে ৩৯ জনকে মনোনীত করা হয়, যার মধ্যে ১ জন নারী এবং ৩৮ জন পুরুষ। এছাড়াও ৪ জনকে অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখা হয়েছে।
টিআরসি নিয়োগ বোর্ডের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গফরগাঁও সার্কেল, ময়মনসিংহ) আফরোজা নাজনীন এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বারহাট্টা সার্কেল, নেত্রকোণা) সুমন কুমার দাস, পিপিএম।
নিয়োগ প্রাপ্ত প্রার্থী ও তাদের অভিভাবকরা এই সফলতায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। অনেকেই এই স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রশংসা করেন।
-মো. শরিফ উদ্দিন বাবু, শেরপুর
ON/MRF