ট্রাম্পের জয়ে সম্পদ বেড়েছে ইলন মাস্কসহ আরো ১০ ধনকুবেরের

গত বুধবার দিনটি শুধু ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য সুখবর বয়ে আনেনি, সুখবর পেয়েছেন মার্কিন ধুনকুবেরেরাও। কারণ, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ে যে পোয়াবারো হয়েছে তাঁদের। ট্রাম্পের জয়ের পর বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী ব্যক্তির সম্পদ বৃদ্ধির রেকর্ড হয়েছে। ব্লুমবার্গের করা শতকোটিপতির তালিকা বলছে, এক দিনের মাথায় এসব ধনকুবেরের সম্পদ বেড়েছে ৬ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার।
এবারের নির্বাচনে ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় সমর্থক ছিলেন ইলন মাস্ক। মার্কিন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান টেসলা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’–এর মালিক এর ফলও বেশ ভালোভাবেই পেয়েছেন। ট্রাম্পের জয়ে সবচেয়ে বেশি সম্পদ বেড়েছে তাঁর। ব্লুমবার্গের হিসাব বলছে, ট্রাম্পের জয়ের পর মাস্কের সম্পদ এক ধাক্কায় ২ হাজার ৬৫০ কোটি বেড়ে হয়েছে ২৯ হাজার কোটি ডলার।
২০১২ সাল থেকে ‘ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেস্ক’ নামে শতকোটিপতির এ তালিকা করে আসছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি। তারা জানিয়েছে, তালিকা রাখার পর থেকে এক দিনে শতকোটিপতিদের সম্পদ এতটা কখনো বৃদ্ধি পায়নি। এর ব্যাখ্যায় ব্লুমবার্গ বলছে, ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ায় ব্যবসাবান্ধব আইন ও নীতিতে চলবে মার্কিন প্রশাসন—এমন প্রত্যাশায় পুঁজিবারের শেয়ারের দামে এ উল্লম্ফন ঘটেছে। এতে করে সম্পদ বেড়েছে ধনকুবেরদের।
সম্পদ বৃদ্ধির এই তালিকায় আরও রয়েছেন ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। ট্রাম্পের জয়ের পর বেজোসের সম্পদ বেড়েছে ৭১০ কোটি ডলার। এবারের নির্বাচনে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দিয়েছিল মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট। তবে ভোটের এক সপ্তাহ আগে বেজোসের নির্দেশে তাঁর মালিকাধীন গণমাধ্যমটি সমর্থন প্রত্যাহার করে। এর ফলও পেলেন তিনি।
ট্রাম্পের সমর্থকদের মধ্যে অন্যতম মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওরাকলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন। ট্রাম্পের জয়ের পর এক দিনে এই ধনকুবেরের সম্পদ বেড়েছে ৫৫০ কোটি মার্কিন ডলার।
সম্পদ বৃদ্ধির এ তালিকায় আরও রয়েছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, গুগলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন এবং বার্কশায়ার হ্যাথাওর প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন বাফেট। যদিও তাঁদের কেউই এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থীকে প্রকাশ্যে সমর্থন দেননি। কিন্তু অতীতে এই ধনকুবেরদের ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর পক্ষে কথা বলতে দেখা গেছে।
সূ্ত্র: প্রথম আলো
ON/MRF