বাংলাদেশ দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের জন্মদিন আজ। আয়ারল্যান্ডের শুরুর তোপে বাংলাদেশ কিছুটা বিপদেই যেন পড়ে গিয়েছিল। সেই বিপদ থেকে দলকে রক্ষা করলেন মুশফিক। দারুণ এক ফিফটিতে জন্মদিনটাও রাঙালেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
৩১তম ওভারের চতুর্থ বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে লেন্থ ডেলিভারী ছিল, মুশফিক কাট করার পর হাওয়া ভাসতে ভাসতে বল চলে যায় ব্যাকওয়াড পয়েন্টে। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা হ্যারি ট্যাক্টর জায়গায় দাঁড়িয়ে বলের নাগাল পেলেও হাতে জমাতে পারেননি। তাতে ১৯ রানে জীবন পাওয়া মুশফিক ৬৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন।
৪৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান। মুশফিক উইকেটে আছেন ৫০ রান নিয়ে, অপর অপরাজিত ব্যাটার তাইজুলের সংগ্রহ ৯ রান।
চেমসফোর্ডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই আইরিশ বোলারদের তোপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। ১৫ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ২ উইকেট। আউট হন লিটন দাস আর অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
লিটলের করা ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরের পথ ধরেন লিটন। সেটাও আবার গোল্ডেন ডাকে (১ বলে ০)। এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন লিটন। ৩ রানে বাংলাদেশ হারায় প্রথম উইকেট।
তামিম শুরুটা ভালোই করেছিলেন, কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। চতুর্থ ওভারে মার্ক এডায়ারের বলে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ১৯ বলে ২ বাউন্ডারিতে তামিম করেন ১৪।
এরপর দুই বাঁহাতি সাকিব আল হাসান আর নাজমুল হোসেন শান্ত গড়েন প্রতিরোধ। সাকিব দলের বিপদের মুখে শান্তকে নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সেই আত্মবিশ্বাসে আঘাত হানলেন গ্রাহাম হুমে।
অনেকটা এগিয়ে ক্রস খেলতে গিয়ে আইরিশ পেসারের বলে বোল্ড হয়ে যান সাকিব। ২১ বলে ৪ বাউন্ডারিতে তিনি তখন ২০ রানে। শান্তর সঙ্গে তার ৩৭ রানের জুটিটি ভাঙে এই আউটে। ৫২ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সেখান থেকে তাওহিদ হৃদয় আর শান্তর দারুণ একটি জুটি। ৬৩ বলে ৫০ রানের এই জুটিটি ভাঙে শান্তর আউটে। দলীয় ১০২ রানে ৪ উইকেট পড়ে টাইগারদের।
চাপের মুখে শান্ত খেলেছেন ভালো একটি ইনিংস। কিন্তু ইনিংসটা শেষ হলো আক্ষেপ নিয়ে। মাত্র ৬ রানের জন্য যে ফিফটিটা করতে পারলেন না।
ফিফটি পেলে ব্যাটিং করা সবশেষ ৬ ইনিংসে এটি হতো শান্তর চতুর্থ পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। ৬৬ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৪৪ করে কুর্তিস ক্যাম্ফারের শিকার হন শান্ত। ডিপ মিডউইকেট বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
এরপর ফিরে যান আরেক সেট ব্যাটার হৃদয়। হুমের বল অফসাইডে অনেকটা বাইরে গিয়ে ব্যাটে লাগান এই তরুণ, উইকেটরক্ষকের হাতে চলে যায় বল। ৩১ বলে গড়া হৃদয়ের ২৭ রানের ইনিংসে ছিল ২টি বাউন্ডারির মার।