তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত

Wednesday, June 7, 2023

তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধিত

spot_img
Homeকৃষি ও প্রকৃতিপ্রতি কেজি শুকনো মরিচ ৬শ টাকা, ফলন-দামে খুশি চাষী

প্রতি কেজি শুকনো মরিচ ৬শ টাকা, ফলন-দামে খুশি চাষী

- Advertisement -
Google search engine

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর চরে নতুন পলিমাটিতে এ বছর মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। পাশাপাশি ভালো দামে মরিচ চাষীর মুখে হাসি ফুটেছে। 

সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এ বছর জেলায় ১৪৪৬ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। চাষকৃত মরিচের মধ্যে হাইব্রিড জাতের বিজলী, যমুনা, রশনী, ঝিলিক উন্নত জাতের মধ্যে বারি-৩, সুপার সনিক, রংপুরী, বগুড়া ছাড়াও স্থানীয় জাতের মরিচের চাষ হয়েছে। 

প্রতি হেক্টর জমিতে মরিচের উৎপাদন হয়েছে দুই দশমিক পাঁচ টন শুকনো মরিচ হয়েছে বলে জানিয়েছে চাষীরা।

স্থানীয় বাজার সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে আর শুকনো মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় যমুনার চরে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। সিরাজগঞ্জের যমুনার চরে উৎপাদিত কাঁচামরিচ ও শুকনো মরিচ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কিনতে আসছেন পাইকাররা। প্রতি সপ্তাহে শনি ও বুধবার কাজিপুরের নাটুয়াপাড়া হাট বসে। এই হাট থেকে দেশের বড় বড় কোম্পানির প্রতিনিধিসহ ব্যাপারীরা মরিচ কিনে নিয়ে যান। অনেক ব্যাপারী হাট থেকে মরিচ কিনে চরের তপ্ত বালুর ওপর শুকিয়ে নিয়ে যান। 

এ বছর চরের কৃষকরা মরিচ চাষ করে লাভের মুখ দেখেছেন।

সোনামুখী ইউনিয়নের উত্তর পাইকপাড়া গ্রামের মরিচ চাষি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এ বছর ৩২ শতক জমিতে মরিচের চাষ করেছেন। কাঁচামরিচ বিক্রি করেও চার মণ শুকনো মরিচ রেখেছেন। তার এই ৩২ শতক মরিচ ক্ষেতে চাষ করতে খরচ হয়েছে ৩২ হাজার টাকা। শুকনো মরিচ বাজারে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি। 

সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের নাটুয়াপাড়া চরে রোদে শুকানোর জন্য মরিচ রাখা হয়েছে। ছবি: ইত্তেফাকসিরাজগঞ্জের কাজিপুরের নাটুয়াপাড়া চরে রোদে শুকানোর জন্য মরিচ রাখা হয়েছে। 

বর্তমান বাজারে চার মণ মরিচ ৯৬ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান এই মরিচ চাষী।

নাটুয়াপাড়ার কৃষক আবদুস সালাম বলেন, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামর্শে এক বিঘা জমিতে মরিচের চাষ করেছি। এরই মধ্যে ২০ মণ কাঁচামরিচ বিক্রি করেছি। আরও চার মণ মরিচ শুকিয়ে রেখেছি। এখন যদি শুকনো মরিচ বিক্রি করি তাহলে প্রায় এক লাখ টাকার মরিচ বিক্রি করতে পারব বলে আশা করি।

সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার জানান, এ বছর জেলায় ১৪৫৬ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। এ থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৩২০৪ মেট্রিক টন। মরিচের বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পেয়ে কৃষকরা খুব খুশি। আগামীতে তারা আরও বেশি জমিতে মরিচ চাষে আগ্রহী বলে জানান তিনি।

- Advertisement -
Google search engine
আরো খবর
- Advertisment -spot_img

সর্বশেষ সংবাদ

৬ দফা দাবি থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে: রাষ্ট্রপতি

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৬ দফা দাবি থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বুধবার (৭ জুন) ঐতিহাসিক...

হজ কবুল হয় যেসব আমলে

অর্থ ও শারীরিক পরিশ্রমের সমন্বয়ে একটি শ্রেষ্ঠতম ইবাদতের নাম হজ। একজন মুসলমানের সারা জীবনের চাওয়া-পাওয়া আর স্বপ্নের অন্যতম অধ্যায় এই হজ। কেননা হজ একটি...

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বুধবার (৭ জুন) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২-এ তিনি...
- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর