দুই যুগেও আলোর মুখ দেখেনি ধানসিঁড়ি ইকোপার্ক

ঝালকাঠির শহরতলীর কিফাতনগর এলাকায় গড়ে ওঠা ধানসিঁড়ি ন্যাশনাল ইকোপার্ক প্রকল্প দুই দশক পেরিয়ে গেলেও এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। জমি-সংক্রান্ত মামলা ও প্রশাসনিক জটিলতায় থমকে আছে প্রকল্পটির অগ্রগতি। প্রকল্প বাস্তবায়িত না হওয়ায় ঝালকাঠির পর্যটন এবং স্থানীয় অর্থনীতির সম্ভাবনাও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
২০০২ সালে গাবখান, ধানসিঁড়ি, সুগন্ধা, বিষখালী ও বাসন্ডা নদীর মোহনায় ৫৫ একর খাস জমিতে ইকোপার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বালু ভরাটসহ প্রাথমিক কাজ শুরু হলেও স্থানীয় এক প্রভাবশালী মহল ৩৫ একর জমির মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করে। বর্তমানে মামলাটি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রতা এবং অবকাঠামোর অভাবে হতাশ সাধারণ মানুষ। পর্যাপ্ত বসার স্থান, টয়লেট ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা না থাকায় দর্শনার্থীরা নিয়মিত ভোগান্তিতে পড়ছেন। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা পড়ছেন মারাত্মক সমস্যায়।
ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা সোমা আক্তার বলেন, ‘ঝালকাঠিতে ঘোরার জায়গা সীমিত। ধানসিঁড়ি পার্কে এসেছি, কিন্তু শিশুর জন্য কোনো ওয়াশরুম নেই, খুব কষ্ট হয়েছে।’ চাকরিজীবী সোবাহান মোল্লা বলেন, ‘বসার জায়গা না থাকায় ঘুরতে এসেও ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।’
জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান বলেন, ‘জমির মালিকানা সরকারের কাছেই আছে। মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে। মামলার রায় পাওয়া গেলে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।’
স্থানীয়রা আশা করছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঝালকাঠির পর্যটন খাত এবং স্থানীয় অর্থনীতি নতুন প্রাণ ফিরে পাবে।
– মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি
–ON/SMA