পরকীয়ার জেরে নুরুল হককে কুপিয়ে হত্যা

–কচুয়ার বিতারা গ্রামে পরকীয়া জেরে হত্যা, স্বজনদের আহাজারি এবং ইনসেটে নিহত নুরুল হক।
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বিতারা গ্রামে পরকীয়ার জের ধরে নুরুল হক (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। শনিবার (১২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে খলিফা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নুরুল হক একই গ্রামের মৃত সুলতান মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর পুলিশ তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরকীয়া সংক্রান্ত বিরোধ ছিল একই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে শুক্কর আলীর সঙ্গে নুরুল হকের। শনিবার রাতে জাহাঙ্গীর ও জালাল নামের দুই ব্যক্তি কৌশলে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। এরপর শুক্কর আলী ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে যায়।
নুরুল হকের চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়।
নিহতের স্ত্রী জাহানারা বেগম, শ্বশুর আমির হোসেন ও ছেলে জহিরুল ইসলাম জানান, ‘শনিবার রাতে বিতারা গ্রামের জাহাঙ্গীর ও জালাল মোবাইলে ডেকে নিয়ে যায়। কিন্তু তাদের পূর্ব পরিকল্পিত হত্যার পরিকল্পনা ছিল, যা নুরুল হক বুঝতে পারেনি। শত্রুতার জেরে শুক্কর আলী দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।’
নিহতের বোন জুলেখা বেগম, রাশিদা ও তাছলিমা বলেন, ‘পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানাই।’
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. লুৎফুর রহমান, কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আজিজুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) মো. জিয়াউল হক এবং ডিবির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কচুয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. জিয়াউল হক বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরকীয়ার জেরে হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
– মো: মাসুদ মিয়া, কচুয়া
–ON/SMA